মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

এবার NEET পরীক্ষাতেও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ! সিবিআই তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

১২:১০ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

এবার NEET পরীক্ষাতেও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ! সিবিআই তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে! কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার পর, এবার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করানোর অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের এক কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। বুধবার এই খবর সামনে এসেছে সিবিআই সূত্রে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আর কে এডুকেশন কেরিয়ার গাইডেন্স (RK Education Career Guidance) নামে মহারাষ্ট্রের এক কোচিং সেন্টার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করত। যা পুরোপুরি অনৈতিক। বিভিন্ন উপায়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া NEET মেডিক্যাল পরীক্ষায় নকল করতে সাহায্য করত। কখনও কখনও আবার ভুয়ো পরীক্ষার্থী সাজিয়েও পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হত।

সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে এক্ষেত্রে যোগাযোগ ছিল উক্ত কোচিং সেন্টারের। এই সেন্টারে যে পড়ুয়ারা বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে ভর্তি হত, তারা যাতে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সেন্টার। এরপর সেইমতো তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আইডি এবং অন্যান্য নথিতে পরিবর্তনও করত। এই কাজে ওই সেন্টারকে সরকারি কর্মীরাও সাহায্য করত। এটা পরিষ্কার যে, এই দুর্নীতির মূল অনেক গভীরে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কোচিং সেন্টারের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করাও হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। একইরকমভাবে এর আগে কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও (Joint Entrance Examination) বড়সড় দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অনলাইনে হওয়া এই পরীক্ষাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এসেছিল সিবিআইয়ের কাছে। মূলত অভিযোগ ছিল, অনলাইন পরীক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার করে কিছু পড়ুয়াকে অনৈতিকভাবে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। সিবিআইয়ের কাছে আসা অভিযোগে এও দাবি করা হয় যে, এই সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং শিক্ষকরা দেশের বাছাই করা কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে রিমোট অ্যাক্সেসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।