শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

জইশ-ই-মহম্মদের নজরে রাম জন্মভূমি! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড় নাশকতার ছক বানচাল কাশ্মীর পুলিশের

০৬:৩৯ পিএম, আগস্ট ১৪, ২০২১

জইশ-ই-মহম্মদের নজরে রাম জন্মভূমি! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড় নাশকতার ছক বানচাল কাশ্মীর পুলিশের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে রক্ষা পেল দেশ। জইশ-ই মহম্মদের টার্গেটে এবার ছিল অযোধ্যার রাম জন্মভূমি। জানা গিয়েছে, ১৫ আগস্টের আগেই জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক কষছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি। তাদের নজরে রয়েছে পানিপথের তৈল শোধনাগারও।

৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে শনিবার বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করল পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হল জইশ মডিউলের ৪ জঙ্গিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উপত্যকায় আইইডি বিস্ফোরণের ছক ছিল জঙ্গিদের। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, ধৃত জঙ্গিরা ড্রোনের মাধ্যামে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাচার এবং অন্য জঙ্গিদের কাছে সেই অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল।

জানা গিয়েছে, প্রথমে পুলওয়ামা এলাকা থেকে প্রথমে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জইশ জঙ্গি মুনতাজির মানজুর। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং দুটি চাইনিজ গ্রেনেড। এর পাশাপাশি একটি ট্রাকও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, ধৃত জঙ্গি মুনতাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিন জইশ জঙ্গির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি জানিয়েছেন যে, জেরায় ধৃত এক জঙ্গি ইজহার খান স্বীকার করেছে যে, তাদের লক্ষ্য ছিল পানিপথের তৈলি শোধনাগার এবং অযোধ্যার রাম জন্মভূমি। এই দুটি জায়গার রেইকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকেই। সেখানকার ভিডিও পাকিস্তানে বসে থাকা জইশ কমান্ডর মুনাজির ওরফে শাহিদকে পাঠায় সে। আবার সোপিয়ান থেকে ধৃত অপর জঙ্গি, তওসিক আহমেদ শাহ জানিয়েছে যে, জম্মু-কাশ্মীরে বড় জঙ্গি হামলার লক্ষ্যে পুরনো বাইক কেনার দায়িত্ব ছিল তার উপরে। তদন্তে এও সামনে এসেছে যে, ধৃত চতুর্থ জঙ্গি জাহাঙ্গির আহমেদ প্রধানত ভারতে জইশের হয়ে জঙ্গি নিয়োগের দায়িত্বে ছিল।

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো। সেই কারণে আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বিভিন্ন শহরের পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিযুক্ত সংস্থাগুলোকেও।