বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষে, ফেরার আগে কী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

০৫:১৪ পিএম, জুলাই ৩০, ২০২১

পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষে, ফেরার আগে কী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষ করে, শুক্রবার অর্থাৎ আজই কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেই জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়াতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে সংগঠন আরও মজবুত করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অ-বিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

এই পাঁচ দিনের সফরে নানা জল্পনা এবং রাজনৈতিক সম্ভবনার আবহেই প্রায় দেড় বছর পর, মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই সফর শেষে আজ কলকাতায় ফেরার আগে, দিল্লিতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন যে, এবার থেকে ২ মাস অন্তর দিল্লিতে আসবেন। অর্থাৎ তিনি এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে, ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন যে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনিই মধ্যস্থতার কাজটি করবেন। একইসঙ্গে এও বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো বিরোধী নেত্রী তিনিই। শুক্রবারও কলকাতায় ফেরার আগে তিনি বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বিরোধী জোটের সমীকরণের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘দেশে উন্নতি চাই, মানুষের উন্নয়ন চাই। কৃষকদের পাশে সবসময় আছি। প্রতি দু’মাসে দিল্লি আসব। দেশকে সবসময় এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধীরা যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে!’

এদিন ফের একবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি চিন্তার বিষয়।’ তাছাড়া এদিন নেত্রী করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বলেন যে, ‘তৃতীয় ঢেউ কীভাবে আটকানো যাবে, সে বিষয়ে যাতে নজর রাখা যায় সেকথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রায় সমস্ত নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে শরদ পাওয়ার দেখা হয়নি, তবে ফোনে কথা হয়েছে। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হয়, তখন দেশ ভালো থাকে না। আমাদের দেশ বাঁচানোর কাজ করতে হবে।’

এই পাঁচ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে বিরোধী দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা কমল নাথ, আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, দিল্লিতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন যে, ‘গোটা দেশ মোদীর বিরুদ্ধে লড়বে’। বিজেপি বিরোধী জোট প্রসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, সোনিয়া গান্ধীও এই জোটের পক্ষেই সায় দিয়েছেন। ফেরার আগে সেই বিরোধী জোটের বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট করলেন নেত্রী।