শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

শনিবারের পরিবর্তে প্রার্থীদের নিয়ে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন মমতা

০৫:০৭ পিএম, এপ্রিল ২৯, ২০২১

শনিবারের পরিবর্তে প্রার্থীদের নিয়ে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন মমতা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ বাংলার বিধাসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট চলছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া এখন শেষলগ্নে। আবার ভোট মিটলেই, গণনার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

প্রথমে ঠিক হয়েছিল ভোট গণনার আগের দিন দুপুরে প্রার্থী এবং নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই দিনক্ষণে এবার পরিবর্তন আনা হল। বৃহস্পতিবার অষ্টম এবং শেষ দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীনই বৈঠকের দিন পরিবর্তন করলেন নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মে-এর পরিবর্তে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ ওই বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই দলের সমস্ত প্রার্থীদের কাছে বৈঠকের দিন এবং সময় পরিবর্তনের বার্তা চলে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের এজেন্টদেরও।

জানা গিয়েছে যে, শুক্রবারের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের ২৮৮ জন প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টদের সঙ্গে ভোট গণনা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এবং গণনার আগে তৃণমূল নেত্রী এমন কোনও বৈঠক করেননি। সেদিক থেকে বিচার করলে এটাই প্রথম এমন বৈঠক। তাই শুক্রবারের বৈঠকে গণনা নিয়ে দলকে কী নির্দেশ দেন, সেদিকেই তাকিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। এ বারের ভোটে ২৯১ জন তৃণমূল প্রার্থী লড়াই করছেন। কিন্তু জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। বাকি ২৮৮ জন প্রার্থীর ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির থাকার কথা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বারের বিধানসভা ভোটে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই গণনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার নির্দেশিকা জারি করে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণনাকেন্দ্রে প্রার্থীদের বা এজেন্টদের প্রবেশ করতে হলে, তাঁদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বা কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র অবশ্যই দেখাতে হবে।

এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য, গণনার ৪৮ ঘণ্টা আগে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে বা জমায়েত করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা। এখানেই শেষ নয়, প্রার্থীদের কোন এজেন্ট গণনা কেন্দ্রে থাকবেন, গণনার তিনদিন আগে তাঁদের নামের তালিকা জমা দিতে হবে কমিশনের কাছে।

এদিকে বুধবার রাতে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে কমিশনের নির্দেশ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে দাবি করে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে কলকাতার নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে এসেছে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে, গণনাকেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যা এক রেখে ঘরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, শুক্রবারের বৈঠকে নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে মমতা এই জরুরি বৈঠক তলব করেছেন।

তাছাড়া দলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এবার যে কায়দায় ভোট হয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের উপর একেবারেই ভরসা নেই নেত্রী বা দলের। মমতার বিশ্বাস তৃণমূলের বড় জয় সুনিশ্চিত। তাও বিজেপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না তৃণমূল। তৃণমূলের ধারণা, গণনায় কারচুপি করে মানুষের রায় পালটে দেওয়ার শেষ চেষ্টা করবেই বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, কমিশন তাদের হয়ে গোটা নির্বাচনে কাজ করেছে। তৃণমূল একটি অভিযোগেরও বিচার পায়নি। সেই প্রেক্ষিতে প্রার্থীদের সতর্ক করতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেই শুক্রবারের এই ভার্চুয়াল বৈঠক মমতার।