শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

অন্য রাজ্যে গিয়ে দোকান খুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি তোপ দিলীপ ঘোষের

০১:২৯ পিএম, অক্টোবর ৮, ২০২১

অন্য রাজ্যে গিয়ে দোকান খুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি তোপ দিলীপ ঘোষের

শুক্রবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজ্য রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির বিরোধী দল তৃণমূলই, কিছুদিন আগেই এমন মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বিজেপির বিরোধী দল কে হবে সেটা বাকিরা ঠিক করে নিক।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন না বিজেপির কোনও বিধায়ক৷ এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, "আমরা ঠিক করব, আমরা কোথায় থাকব। আমরা কোনও অবৈধ অন্যায় কাজকে সমর্থন করব না।" শুধু তাই নয়, দিলীপের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও ফের এক বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এদিন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির বক্তব্য, "অন্য রাজ্যে গিয়ে দোকান খুলছেন মমতা। নেতাদের পাঠাচ্ছেন। স্পনসর করা হচ্ছে।’’ একইসঙ্গে বামেদের প্রসঙ্গ টেনেও কটাক্ষ ছুঁড়ে তিনি বলেন, "সিপিএমও তো একটা সময় চেষ্টা করেছে। এখন ওদের দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।"

যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে বির্তক৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, 'দোকান' শব্দটি ব্যবহার করে অযথা বিতর্ক টেনে আনছেন দিলীপবাবু। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির অনেকেই আবার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের দাবি, তৃণমূল আসলে একটা প্রাইভেট কোম্পানি। তাই দিলীপবাবু ভুল কিছু বলেননি।

এদিন বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা নিয়েও কথা ওঠে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, "যত তাড়াতাড়ি চলে যান, ততই ভাল হয়। এমন কিছু লোকজন আছেন, তাঁরা কোন দিকে আছেন বোঝা যাচ্ছে না। তাঁরা যত তাড়াতাড়ি যাবেন, আমরা গুছিয়ে কাজ করতে পারব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সাফ হয়ে যাবে।" পাশাপাশি তাঁর দাবি, "দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্মান দেওয়া হয়েছে। কাজের সুযোগ, টিকিট দেওয়া হয়েছে। দলের তরফে কোনও খামতি নেই। ওঁরা ঠিক করতে পারছেন না কোন দিকে যাবেন। যাঁরা দলটাকে তৈরি করেছেন, তাঁরা ঠিক জায়গায় আছেন। একের পর এক এসেছিলেন, একের পর এক যাচ্ছে। এতে কিছুই আসে যায় না। তাদের জন্য রাজনীতিতে প্রভাব পড়ে না।"