মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

০১:৩২ পিএম, জানুয়ারি ১৭, ২০২২

জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার রাজনীতির ময়দানে, তাঁরা চিরকাল একে অপরের প্রতিপক্ষ ছিলেন। তাঁদের একে অপরের বিরুদ্ধেই দেখা গিয়েছে। পরস্পরের রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও, বেঁচে থাকাকালীন জ্যোতি বসুকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সম্মান এবং শ্রদ্ধা আজও একইরকম রয়েছে তাঁর দিক থেকে।

আবারও মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের সাক্ষী থাকল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, এই প্রথমবার নয়, অতীতেও বহুবার বঙ্গ রাজনীতিতে সৌজন্যের নজির গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/5072020992865201

১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন জ্যোতি বসু। ২৩ বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। তিনিই ছিলেন ভারতের দীর্ঘতম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ১৯৬৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিআই দলের পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন। ২০০০ সালে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অবসর নিলেন, বহুদিন সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি  হয়েছিলেন জ্যোতি বসু। এরপ ১৭ জানুয়ারি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বাংলার দীর্ঘসময়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রয়ান দিবসে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞত্তাচারজে১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একটানা তেইশ বছর জ্যোতি বসু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই ছিলেন ভারতের দীর্ঘতম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ১৯৬৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিআই(এম) দলের পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।

ছাত্রাবস্থায় উচ্চশিক্ষার্থে ইংল্যান্ডে গিয়ে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন জ্যোতি বসু। ১৯৪০ সালে গ্রহণ করেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ। ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলা প্রদেশের প্রাদেশিক আইনসভায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি রূপে নির্বাচিত হন। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হন বসু। ১৯৬৭ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন জ্যোতি বসু। এরপর ১৯৭৭ সালের ২১ জুন শপথ নেন পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। ১৯৯৬ সালে তাঁর নাম দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হলেও, তিনি পার্টির সিদ্ধান্তে সেই পদ প্রত্যাখ্যান করেন। টানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করে অবসর নেন বসু। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসুর শাসনকাল সাফল্য ও ব্যর্থতায় মিশ্রিত। তবে, বিলেত-ফেরত বাঙালি সমাজের প্রতিনিধি বসু ছিলেন এক অবিসংবাদী জননেতা ও নিজের দল এবং দলের বাইরেও এক বিশিষ্ট সম্মানের অধিকারী।