বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছট পুজোর পরই মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য হতে চলেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শিলিগুড়িতে মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে এমটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য এদিনই শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও ললিতেশ ত্রিপাঠী। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কমলাপতি ত্রিপাঠীর পপৌত্র তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এক পপৌত্রের ছেলে প্রাক্তন বিধায়ক ললিতেশপতি ত্রিপাঠীও এসেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এই যোগদান কর্মসূচির মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ছট পুজোর পর বারাণসী যাবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বারাণসী গিয়ে বিশ্বনাথ মন্দির দর্শন ও গঙ্গারতি দেখার অনুরোধ করেছেন ওঁরা। কালীপুজো, দীপাবলি ও ছটপুজোর পর কর্মসূচি তৈরি হব। আমি তখন যাব। অভিষেকও যাবে। কংগ্রেস ছেড়ে ওঁরা এসেছেন। গঙ্গাসাগরের দৈত্যাপতি অযোধ্যার বাসিন্দা। তাঁর আশ্রমে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। আরও সংগঠন চিঠি দিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন। এনআরসি নিয়ে ইউপিতে গিয়েছি।’
অন্যদিকে, এদিন উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে তাঁর পুরনো অতীত-যোগের কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুরনো দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি অনেকবার উত্তরপ্রসেশ গিয়েছি। নানা কর্মসূচি করেছি। ৭ বাড় সাংসদ ছিলাম। দু’বার রেলমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ইউপি নতুন কোনও কথা নয়। বিশ্বনাথপ্রতাপ সিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এলাহাবাদে। তখন কংগ্রেসের হয়ে গিয়েছিলাম। লখনউ আমার জন্য নতুন কোনও জায়গা নয়।’
অন্যদিকে এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি দাবী করেছেন, সব কাজে কেন্দ্রের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে। তবে তিনি পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, এসবকে তিনি একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
এদিকে, গোয়ায় মমতার কর্মসূচি বাতিল হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন যে, ‘গোয়ায় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না বিজেপি। কথা বললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। অনুমতি না পেলে রাস্তায় প্রতিবাদ চলবে। আমি স্ট্রিট ফাইটার। রাস্তায় নেমে আন্দোলন চলবে গোয়ায়।’ তাঁর আরও দাবী, ‘তৃণমূলের প্রতি মানুষের ভরসা বাড়ছে। বাংলায় যখন পেরেছি, ভারতেও পারব।’