বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

কবে নিচ্ছেন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর শপথ তৃণমূল সুপ্রিমো? আর কবেই বা হচ্ছে জয়ের সেলিব্রেশন?

০৬:৫৯ পিএম, মে ৩, ২০২১

কবে নিচ্ছেন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর শপথ তৃণমূল সুপ্রিমো? আর কবেই বা হচ্ছে জয়ের সেলিব্রেশন?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন শেষ, ফলও প্রকাশিত হয়েছে। ২০০-র বেশি আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক দায়িত্ব নিজের হাতে নিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তাই আজ, অর্থাৎ সোমবার গণনার পরের দিনই, তৃণমূল ভবনে নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিষদীয় দলনেত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। আগামী বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রিয় নেত্রী, জননেত্রীকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেত্রী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আমরা খুশি, আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। শারীরিক বাধা নিয়ে হুইল চেয়ারে বসে বাংলা ও ভারতের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সংগ্রাম চালিয়েছেন তিনি। দৃঢ়চেতা চিত্তে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছেন। পরিষদীয় দল তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ৬ তারিখ থেকে তৃণমূলের সমস্ত নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথপাঠ করাবেন প্রোটেম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই পরবর্তীকালে আমরা অধ্যক্ষ হিসেবে চাই। স্পিকারের নাম প্রস্তাব করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।’

এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি শপথ হলেও অনুষ্ঠান করে করব না। কোভিড পরিস্থিতি কাটলে, আমরা সেলিব্রেশন করব। ব্রিগেডে ভারতের সব নেতানেত্রীকে আমন্ত্রণ জানাব।’

নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়েও হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে এখনও তরজা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস ওই কেন্দ্রে আবারও গণনার দাবি তুলেছে। তাহলে কীভাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন? এই প্রশ্নে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও নির্বাচন কমিশনে উত্তরের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে। পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন যে, সংবিধান অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন প্রার্থী। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও মনে করিয়ে দেন যে, ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় বিধায়ক ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর আসনটি তাঁকে ছেড়ে দেন সুব্রত বক্সি। ওই আসনে জয়লাভ করেন মমতা। তাই এবারেও নেত্রীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় কোনও বাধা নেই।