শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

০৭:০৬ পিএম, জুন ২৩, ২০২১

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে ঝড়ের গতিতে বেড়েছিল করোনার সংক্রমণ। তবে, এখন কড়া বিধিনিষেধ জারির কারণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। নির্বাচন কমিশন চাইলেই রাজ্যে উপনির্বাচন করতে পারে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কমিশনের উদ্দেশে রাজ্যে দ্রুত ৭ আসনের উপনির্বাচন সেরে ফেলার আর্জি জানালেন।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা কমে গেছে। আগামী ১০ দিনে তা আরও কমে আসবে এমনটাই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি এই বিষয়ে বলেন যে, ‘উপনির্বাচন অনেকগুলি কেন্দ্রে বাকি রয়েছে। আমরা চাইব উপনির্বাচন হয়ে যাক।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘৭ দিন প্রচারের জন্য দেওয়া হোক। বেশি সময় দরকার নেই। ১০ টা থেকে ৭টা সময় দিলেই হয়ে যাবে। এর চেয়ে বেশি নিতে চাই না।’

বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তিনি নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ভোটে হেরেছিলেন। যদিও, সেই ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, সেই ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছ’মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে। এই ৬ মাসের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে রাজ্যের ৭ আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। এই ৭ আসনের মধ্যে, যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও জিতে আসতে হবে কোনও একটি আসন থেকে।

এদিকে, ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায়, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। আরও ৫টি কেন্দ্র দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবায় নির্বাচন করতে হবে। এদিন তিনি বলেন যে, দরকারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করতে পারেন, তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে, তবেই উপনির্বাচন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এমনটা হলে, আমি প্রধানমন্ত্রীকে উপনির্বাচনের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করব। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ এলে আর করা যাবে না। ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাই নিয়ম। নির্বাচনের সময় কোভিড সংক্রমণ হার ছিল ৩৩ শতাংশ। এখন এটা কমে হয়েছে ৩.৬১%। ১০ দিনের মধ্যে এটা ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে। ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হারে নির্বাচন হতে পারে অথচ ১-২ শতাংশ থাকলে নির্বাচন হতে পারে না। আর কয়েকটা এলাকায় ভোট হবে। বেশি সময় চাই না। উপনির্বাচন আয়োজনে অল্প সময় দিলেই হবে।’