শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘নন্দীগ্রামে আমিই জিতব, মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে!’ বললেন আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

০৫:০১ পিএম, এপ্রিল ১, ২০২১

‘নন্দীগ্রামে আমিই জিতব, মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে!’ বললেন আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ বাংলায় দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ৪ জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, তমলুক, হলদিয়া, মহিষাদল, পাঁশকুড়া-পূর্ব, পাঁশকুড়া-পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, চণ্ডীপুরের ভোট। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাসপুর, খড়গপুর, ডেবরা, পিংলা, সবং, নারায়ণগড়ে ভোটগ্রহণ। বাঁকুড়ার তালডাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখীতে নির্বাচন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরেও ভোটগ্রহণ চলছে।

এদিকে নন্দীগ্রামে বেশ কিছু বুথে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের বয়াল বুথ কেন্দ্র গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে আটকে থাকতে হল প্রায় ২ ঘণ্টা। অবশেষে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে তাঁকে বিক্ষোভমুক্ত করে, বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হয়। এরপরই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, ‘আমি আমার জেতা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নই। আমি নন্দীগ্রামে জিতবই মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, কিন্তু আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে।’

উল্লেখ্য, ২ ঘণ্টার মতো সময় তাঁকে আটকে থাকতে হয়। এরপর বয়াল বুথ থেকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বের করে আনা হয়, তখন অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, তিনি রেয়াপাড়ায় নিজের অস্থায়ী ঠিকানাতেই ফিরে যাবেন। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বিক্ষোভ মুক্ত হওয়ার পরই, তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন যে, ‘এখানে যে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন, তিনি কাল রাত থেকেই সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বয়ালের ওই বুথে যখন মমতাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, তখন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে, ‘খেলা যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোটই হয়ে গিয়েছে। এখন গিয়ে আর কিছু করার নেই।‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর সেই মন্তব্য প্রসঙ্গেই অভিযোগ করেন যে, ‘বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা এসে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। যারা ঝামেলা করছে, এক জনও বাংলা জানে না। সবাই হিন্দি বলছে।'

অন্যদিকে, তিনি দাবি করেছেন যে, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, আশেপাশের সব আসনেই তৃণমূল ভাল ফল করবে। উল্লেখ্য, এদিন বয়াল বুথে আটকে থাকার সময়ই তিনি ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়।

এরপরই ধনখড় ট্যুইটে লেখেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আইনের শাসন রাখার আশ্বাস মিলেছে। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1377551766967885828

প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বুথে-বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বেরোন দুপুর একটার পর। আর প্রথম বুথ বয়ালে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে, শুভেন্দুর মুখে হাসি, এবং চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।