শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি মমতার

০৬:০১ পিএম, এপ্রিল ১৮, ২০২১

করোনা ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি মমতার

বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। দৈনিক করোনা-সংক্রমণ ভেঙে ফেলছে একের পর এক পুরানো রেকর্ড। অন্যদিকে গতকাল রাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিংয়ে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার দিকগুলো নিয়েই পর্যালোচনা করা হয় এই বৈঠকে। অন্যদিকে আজ করোনা ভ্যাকসিনের জোগান বৃদ্ধি সহ আরও দুই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

প্রসঙ্গত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ, অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের জন্য চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য তিনি চিঠিতে জানান, কলকাতা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সেখানে দ্রুত হারে এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক টিকাকরন চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেন্দ্রীয় সরকার মারফৎ ভ্যাকসিনের জোগান অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত। তাই টিকাকরনের কাজ ব্যহত হচ্ছে। তিনি জানান, এখনও আরও ২.৭ কোটি মানুষ এর টিকাকরন করতে হবে, কিন্তু তার জন্য দরকার ৫.৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ৷ তাই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাজে অনুরোধ জানান যাতে রাজ্য এই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন পায়।

https://twitter.com/ANI/status/1383729901568618508

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানান, বর্তমানে রাজ্যে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেল। এবিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এই অক্সিজেন সরবরাহ যাতে অব্যাহত থাকে সেটাও যেন নজর দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ওষুধের জোগানের ক্ষেতে চিঠি তে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় দুটি ওষুধ রেমডেসিভির এবং টোসিলিজুমার। এই দুটি ওষুধের জোগানও ঠিক মত নেই রাজ্যে। রাজ্যে প্রত্যেক দিন প্রায় ১ হাজার ভায়াল টোসিলিজুমার ও ৬ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির প্রয়োজন।

তবে রাজ্যে সেই পরিমাণ ওষুধ নেই। রাজ্যের কাছে ১ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির রয়েছে। অন্যদিকে টোসিলিজুমারের নতুন করে এখনও কোনও সরবরাহ হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ওষুধ সরবরাহে উদ্যোগী হয়। মুখ্যমন্ত্রী এই তিনি দাবি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন।