শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

মর্গে বেঁচে উঠেছিলেন 'মৃত' ঘোষিত যুবক! চিকিৎসা চলাকালীন হল করুণ পরিণতি

০২:৫৯ পিএম, নভেম্বর ২৫, ২০২১

মর্গে বেঁচে উঠেছিলেন 'মৃত' ঘোষিত যুবক! চিকিৎসা চলাকালীন হল করুণ পরিণতি

চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। মর্গে পাঠানো হয়েছিল দেহ। সেখানে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ফ্রিজারে দেহ রেখে দেওয়ার পরেও আচমকা দেখা যায় 'মৃতদেহ'টি নড়ছে। বেঁচে উঠেছেন ওই যুবক! তখনই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে চিকিৎসকদের। বুঝতে পারেন কী সাংঘাতিক কাণ্ডই না ঘটে গিয়েছে! কী বড় ভুলটাই না করেছেন তাঁরা! জীবিত যুবকটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দেহ। এরপরই তড়িঘড়ি করে দেহটি ফ্রিজার থেকে বের করে শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। চিকিৎসা চলাকালীনই চারদিন পর মৃত্যু হল ওই যুবকের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটির সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ।

জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম শ্রীকেশ কুমার৷ মোরাদাবাদে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে তখনই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একটানা সাত ঘণ্টা ওভাবেই মর্গের ফ্রিজারের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বেঁচে ছিলেন যুবকটি।

এরপর পোস্টমর্টেমের জন্য পুলিশ পরিবারের লোকজনের অনুমতি নিতে এলে দেহটিকে ঠিকমতো সনাক্ত করার জন্য পরিবারের সদস্যরা যুবকটিকে দেখতে মর্গে এলে তখনই এক সদস্যের নজরে পড়ে যে দেহটি নড়ছে। সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। যুবকটিকে উদ্ধার করে ফের নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা। তবে এবার চার দিনের প্রচেষ্টাতেও চিকিৎসা বাঁচাতে পারলেন না শ্রীকেশ কুমার নামে ওই যুবকটিকে। হাসপাতালেই মারা গেলেন তিনি।

কিন্তু এরপরই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত বড় একটা ভুল করে বসলেন চিকিৎসকরা? পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে গুরুতর জখম অবস্থাতেই যুবকটিকে আরও ৩টি হাসপাতাল ঘুরেছেন তাঁরা। শেষমেশ জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু তখনও আদপেই তিনি মারা যাননি। তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই একটানা ফ্রিজারে ফেলে রাখা হয়। এই দুর্ঘটনার পরে যে চিকিৎসক শ্রীকেশকে মৃত ঘোষণা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। যদিও জেলা হাসপাতালের তরফে তরফে জানানো হয়েছে ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।