শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

গাইঘাটায় গেরুয়া শিবিরে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতির

১০:০৩ এএম, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

গাইঘাটায় গেরুয়া শিবিরে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতির

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও বিজেপিতে বড় ভাঙন। পদ্মফুলের পতাকা ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন গাইঘাটার পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতি-সহ অনেকেই। দলত্যাগীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গেরুয়া শিবিরে কাজ করতে পারছিলেন না। সে কারণেই দলবদলের সিদ্ধান্ত।

রবিবার বিকেলে ফুলশরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা এবং চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি-সহ অন্তত ৫০০ জন বিজেপির কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে ফুলশরা এলাকার বিজেপির দলীয় কার্যালয়টিও হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তৃণমূলে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলো রানি সরকার এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস। এদিনের এই যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ইলা বাগচী, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত-সহ দলের নেতা-কর্মীরা।

ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিয়ে দলত্যাগীদের বক্তব্য ছিল, ‘বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই দলত্যাগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত।’ এদিকে, শনিবারই টিটাগড়ে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরে। নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার‌ ঘনিষ্ঠ এক নেতা-সহ অন্তত ২০০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে, দলে ভাঙনের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় দখল করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন, ‘কোনও দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়নি। যাঁরা বিজেপিতে ছিলেন তাঁরা সবাই এখন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সে কারণেই এই অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা।’

আবার দলীয় কর্মীদের দল ছাড়া নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাসকদলের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত পদ্মশিবির। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘সারা রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে ধমকানি, চমকানি, প্রশাসন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের দলবদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাঁচার তাগিদে তাঁরা দল ছাড়ছেন।’ যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।