বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

নিউ বারাকপুরে ওষুধের দোকান ও গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন!

০৯:৪২ এএম, মে ২৭, ২০২১

নিউ বারাকপুরে ওষুধের দোকান ও গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন!

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আগুনের আতঙ্ক। ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। স্থান নিউ বারাকপুর। উল্লেখ্য, এই এলাকায় প্রায়ই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নিউ বারাকপুরে এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে আগুন লাগে। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। দ্রুত গতিতে চলছে আগুন নেভানোর কাজ।

বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎই ওই গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকান থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে এলাকাবাসী। তখনও চারিদিক নিস্তব্ধ। এলাকাবাসীর কিছু বুঝে ওঠার আগেই, আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জানা গিয়েছে, ওই গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাততাড়াতাড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে।

দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজ প্রথমিকভাবে শুরু করেন এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে রয়েছে ১৫ টি ইঞ্জিন। তবে, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই কারখানার দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। আগুন লাগার পর, একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে বলে স্থানীয়দের দাবি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের আরও ইঞ্জিন আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

উল্লেখ্য,  কার্যত লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই, এই কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল কারখানার মালিক কর্মীদের ডাকেন। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ওই গেঞ্জি কারখানায় রাতে বেশ কয়েকজনের থাকার কথা ছিল। কাল আগুন লাগার পর অনেকে পালাতে পারলেও, চারজন আটকে পড়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এতেই প্রশ্ন উঠছে যে, কী করে এই কারখানা খোলা হল।

ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায়, আগুন নেভাতে দমকল কর্মীদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে আদৌ সেখানে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখে, তাঁদের উদ্ধার করাই এখন দমকলের কর্মীদের প্রথম এবং প্রধান কাজ।

তাই যত দ্রুত সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে কারখানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দমকলের কর্মীরা। আবার এলাকা খুবই ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন দমকলের কর্মীরা। তাই আসেপাশের দোকানে জল দেওয়া হচ্ছে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।