বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা তাড়াতে পাড়ায় পাড়ায় শঙ্খ বাজিয়ে যজ্ঞ করে বেড়াচ্ছেন এই বিজেপি নেতা! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

০৭:০৮ পিএম, মে ২০, ২০২১

করোনা তাড়াতে পাড়ায় পাড়ায় শঙ্খ বাজিয়ে যজ্ঞ করে বেড়াচ্ছেন এই বিজেপি নেতা! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

করোনার দাপটে দেশের হাল তথৈবচ! মারণ ভাইরাসকে ঠেকাতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের অজস্র স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক। প্রশাসন বাহিনীও সমান তালে খাটছে। তবে এসবের মধ্যেই দেশের একাংশ মানুষ আবার করোনামুক্তির জন্য পুজো-পার্বণে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছেন। একাধিক কুসংস্কারের বশে কখনও তাঁদের দেখা যাচ্ছে গো-মুত্র পান করতে। কখনও গায়ে গোবর মেখে সূর্য প্রণাম করতে। ভাইরাসকে ঠেকাতে কিছু জায়গায় আবার করোনা মাতার পুজোও হয়েছে। গতবছর থেকেই সারা দেশ জুড়ে এরকম একাধিক দৃশ্য চোখে পড়েছে।

সম্প্রতি ঠিক এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী রইল যোগী রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ। করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পাড়ায় পাড়ায় যজ্ঞ করে বেড়াতে দেখা গেল এক বিজেপি নেতাকে। উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ঘটে এই ঘটনা। নয়ি বস্তি এবং শিবপুরম এলাকায় যজ্ঞের ধোঁয়া ছড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা গোপাল শর্মা। সেই সঙ্গে শঙ্খ বাজিয়ে হনুমান চালিসাও পাঠ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। উদ্দেশ্য, করোনা তাড়ানো।

বিজেপি নেতার এই কীর্তির ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন প্রশান্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি। এরপর সেখানে মজা করেই তিনি লেখেন, "দেখুন কী ভাবে মেরঠে শঙ্খ বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় যজ্ঞ করে করোনাভাইরাস তাড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা গোপাল শর্মা। গো করোনা গো।" তারপরই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় ফেটে পড়েন নেটিজেনদের একাংশ। কাজটি অত্যন্ত অবিবেচকের মতো এ কথা ব্যক্ত করে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিও আকর্ষণ করতে চান নেটিজেনরা৷

https://twitter.com/scribe_prashant/status/1394650769639428096

যদিও এই প্রসঙ্গে স্বয়ং বিজেপি নেতা গোপাল শর্মার বক্তব্য, "দেশে নিত্যদিনই বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তার জন্যই এই উদ্যোগ। আমরা যজ্ঞের জন্য আমপাতা, আমকাঠ, কর্পূর, দেশি গরুর ঘি, ঘুঁটের মতো জিনিস ব্যবহার করছি। এর ফলে মারণ ভাইরাসের শক্তি ও প্রভাব দুই-ই কমবে। আবহাওয়া পরিস্কার হবে। বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। সবার শরীর সুস্থ হবে। এতে কোনও মানুষের ক্ষতি তো হবেই না বরং পরিবেশের উন্নতি হবে।" তবে তাঁর এই কার্যকলাপ বন্ধ করতে স্বানীয় প্রশাসনের কী ভূমিকা বা আদৌ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা তা জানা যায়নি।