বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আজব কাণ্ড! করোনা রুখতে গঙ্গাজল ও মন্ত্রপাঠ মীরাটের এই থানায়

০৭:৪১ পিএম, মার্চ ৩০, ২০২১

আজব কাণ্ড! করোনা রুখতে গঙ্গাজল ও মন্ত্রপাঠ মীরাটের এই থানায়

দেশে ইতিমধ্যেই এসেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সারা দেশে নতুন করে থাবা বসাতে শুরু করেছে করোনা। টিকাকরণ শুরু হলেও বেশ কিছু রাজ্যে লাফ দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। তবে করোনা রুখতে উত্তরপ্রদেশের এই থানা ব্যবস্থা নিয়েছে, তা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। কারণ, করোনার মোকাবিলায় সেখানে গঙ্গাজল আর মন্ত্রপাঠই ভরসা।

উত্তরপ্রদেশের মীরাটের নৌচান্দি থানার অফিসার প্রেমচন্দ শর্মার মস্তিষ্ক প্রসূত এই ব্যবস্থা। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সেই থানায় ঢুকলেই প্রথমে সারি সারি বোতলে রাখা গঙ্গাজল ছেটানো হয় মানুষের মাথায়৷ পাশাপাশি চলতে থাকে মন্ত্র পাঠ। মাথায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে কপালে চন্দনের ফোঁটা লাগিয়ে মানুষকে বিপদমুক্ত করে তোলা হয়। এরপর তাঁকে উপহার দেওয়া হয় এক বোতল গঙ্গাজল। কারণ, অফিসারের মতে এভাবেই করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

[embed]https://twitter.com/Benarasiyaa/status/1376095016729276425?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1376095016729276425%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.sangbadpratidin.in%2Foffbeat%2Fup-cop-purifies-visitors-at-police-station-with-gangajal-chants-sanitisation-mantra%2F[/embed]

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিতই অফিসার প্রেমচন্দ শর্মা। তাঁর মতে, করোনার পাশাপাশি মানুষের মনকে শান্ত এবং হিংসামুক্ত করতেও এই ব্যবস্থার জুড়ি মেলা ভার। তাই সংক্রমণ নিয়ে আর বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকার মানুষ এখন আগের থেকে অনেক কম আক্রমণাত্মক। গোটা নৌচান্দি অঞ্চলই এখন শান্ত হয়ে গিয়েছে। যদিও দূষ্কৃতিদের পিছন ত্যাগ করছেন না থানার কোনও অফিসারই।

অবশ্য নৌচান্দি থানার এই আজব ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না ওপরমহলের। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট বিনীত ভটনাগর জানান, "প্রতিটি থানাতেই স্যানিটাইজার রাখা থাকে। জানি না কেন ওখানে গঙ্গাজল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। পুরো বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।" যদিও নিজের এই ব্যবস্থা নিয়ে আপাতত বেশ নিশ্চিন্ত অফিসার প্রেমচন্দ। থানার পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি বহিরাগতদেরও চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে মাথায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। করোনার মোকাবিলায় এভাবেই মানুষকে 'বিপদমুক্ত' এবং 'শুদ্ধ' করে তুলছেন তিনি।