বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ে বাড়িতে থুতু লাগিয়ে রুটি বানানোর অভিযোগ! ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত রাঁধুনি

০৩:৫৪ পিএম, ডিসেম্বর ৮, ২০২১

বিয়ে বাড়িতে থুতু লাগিয়ে রুটি বানানোর অভিযোগ! ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত রাঁধুনি

বিয়েবাড়ি মানেই হইহট্টগোল, হাসি-মজা। আর তার সঙ্গেই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ খাওয়াদাওয়া। বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়া মানে এক এলাহি ব্যাপার। কিন্তু এরকমই এক বিয়েবাড়িতে ফের একবার থুতু দিয়ে রুটি বানানোর অভিযোগ উঠল রাঁধুনির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি থুতু লাগিয়ে তৈরি করছিলেন তন্দুরি রুটি। গপাগপ তা খাচ্ছিলেন আমন্ত্রিতরাও। সেই ঘটনার ভিডিওটি গোপনে মোবাইলে তুলে রাখে বাড়ির কিছু কিশোর বয়সী সদস্য। সম্প্রতি ভিডিওটি ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তকে রাতারাতি গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের আম্বেদকর রোডে। সেখানের লক্ষ্মীনগর এলাকায় গত ৩ ডিসেম্বর এক বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্নার দায়িত্বে ছিলেন নৌশাদ নামে এক ব্যক্তি। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায় রুটি তৈরির সময় থুথু লাগাচ্ছেন তিনি। আর সেই রুটিই পরিবেশন করা হচ্ছে অতিথিদের। সেই ঘটনার ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত রাঁধুনির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে মিরাট পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ভিডিও তোলা ওই কিশোররা তাদের পরিবারকে ঘটনার কথা জানানোর পর ক্যাটারিং সার্ভিসের ঠিকাদারের মুখোমুখি হয়েছিল। যিনি অভিযুক্তকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তবে ঠিকাদার এবং পরিবারের অভিযোগ, রাঁধুনিটি তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে তারাই পুলিশকে খবর দেন। কাঁকরখেড়া থানার স্টেশন হাউস অফিসার সুবোধ সাক্সেনা জানিয়েছেন, "গত ৩ ডিসেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। অভিযুক্ত প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে, পরে যখন আমরা তাঁকে ভিডিওটি দেখালাম, তখন তাঁর কাছে কোন উত্তর ছিল না৷ অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি।"

https://www.youtube.com/watch?v=BpWFOBhIGWc

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারী মাসেও মিরাটের অরোমা গার্ডেন রোড এলাকায় ঠিক একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, এই ভাবে থুতু দিয়ে রুটি তৈরি করে তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন চারদিকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এর ধারা ২৬৯, ২৭০, ১১৮ এবং মহামারী আইনের ৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই ব্যক্তি এখনও জেলেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।