বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পড়ুয়ারা পেলেন প্রায় ২০০! নম্বর বিভ্রাট বিশ্বভারতীতে, চুপ কর্তৃপক্ষ

০৬:৪৯ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পড়ুয়ারা পেলেন প্রায় ২০০! নম্বর বিভ্রাট বিশ্বভারতীতে, চুপ কর্তৃপক্ষ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যাপক নম্বর বিভ্রাট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা গিয়েছে, এই পরীক্ষায় কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কেউ পেয়েছেন ১৫১ নম্বর।

আজ মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত মেধা তালিকায় এই নম্বর দেখে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক পড়ুয়ারা। পাশাপাশি উঠছে নানা প্রশ্নও। প্রশ্ন উঠছে, এটা কি সত্যিই নম্বর বিভ্রাট নাকি, মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই বিভ্রাট? এই বিষয়ে সমালোচনা শুরু হলেও, বিষয়টি নিয়ে একেবারে চুপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে মূলত অন-লাইনেই পঠনপাঠন হচ্ছে। ভর্তির প্রক্রিয়াও সেভাবেই চলছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার অফ এডুকেশন কোর্সের জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় যিনি সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৯৬.৩৬। অপর একজনের প্রাপ্ত নম্বর ১৫১.২৭। মেধাতালিকায় মোট ৪৩ জনের মধ্যে এই দুজনের নম্বরই ১০০-র বেশি। বাকিদের নম্বরে কোনও গরমিল নেই। কিন্তু এই দুটি নম্বর নিয়েই শুরু হয়েছে যত সমালোচনা।

তবে, এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। এমনই হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও উঠেছে। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও তেমনই কোনও গরমিলের অংশ? এমনই প্রশ্ন উঠছে।

এই নম্বর বিভ্রাট নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দিতে গিয়ে পরীক্ষকরা কী করছেন তাই ভুলে গিয়েছেন। এমনিতে এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০ এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।