বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্য! এবার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া FIR খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মিঠুন

০৯:২৮ এএম, জুন ৮, ২০২১

নির্বাচনী প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্য! এবার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া FIR খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মিঠুন

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার একুশের নির্বাচন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যে সরগরম ছিল রাজ্য-রাজনীতি। অনেকেই ভোট প্রচারে গিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যার মধ্যে বেশকিছু উস্কানিমূলক মন্তব্যও ছিল। ভোট প্রচারে গিয়ে, হাতে মাইক নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও।

একুশের নির্বাচনে রাজ্যের ভোট প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আগেই FIR দায়ের করা হয় মানিকতলা থানায়। এবার সেই এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে FIR খারিজের দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতার দাবি, স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই FIR দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই, বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ব্রিগেডের সমাবেশে নিজের ছবি জনপ্রিয় ডায়লগ শুনিয়ে ছিলেন মিঠুন। বলেছিলেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’। এরপর ভোটের প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে একাধিকবার প্রচার করেছেন। আর যেখানেই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।’ এছাড়াও শীতলকুচির ঘটনায় নাম না করে, তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, ‘ওখানে(শীতলকুচিতে) যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উস্কানি দিয়ে চারজন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?’ তবে, ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসার পর, তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতে, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলে, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে আর দেখা যায়নি। আবার এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার ঠিক পরেই, ২ মে মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এই মামলা করেন বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের পক্ষ থেকে মৃত্যুঞ্জয় পাল। এই মামলায় বলা হয় যে, ভোটপ্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্যগুলি সাধারণ সিনেমার সংলাপ নয়। এই ধরনের বক্তব্য সন্ত্রাস এবং উত্তেজনায় প্ররোচনায় ছড়ায়। ফলে কোথাও সন্ত্রাস হলে, তাঁর দায় মিঠুন চক্রবর্তীদেরও। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হোক।