শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পরিবারে বর্তমান ৩৮ স্ত্রী, ৮৯ সন্তান! প্রয়াত 'বিশ্বের সবচেয়ে বড়' পরিবারের কর্তা জিয়ানা চানা

০২:৩৯ পিএম, জুন ১৪, ২০২১

পরিবারে বর্তমান ৩৮ স্ত্রী, ৮৯ সন্তান! প্রয়াত 'বিশ্বের সবচেয়ে বড়' পরিবারের কর্তা জিয়ানা চানা

মিজোরামের জিয়ানা চানা। সম্ভবত 'বিশ্বের সবচেয়ে বড়' পরিবারের কর্তা ছিলেন তিনি। পরিবারে বর্তমান ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯ জন ছেলেমেয়ে ও ৩৩ জন নাতি-নাতনি। সেই পরিবারকে রেখেই রবিবার প্রয়াত হলেন জিয়ানা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬।

উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সেরচিপ জেলার বক্তওয়াং ল্যাংনুয়াম গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জিয়ানা চানা৷ রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগের কারণে বহুদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি৷ কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। মিজোরামের রাজধানী আইজলের বেসরকারি হাসপাতাল ট্রিনিটিতে ভর্তি ছিলেন জিয়ানা। অবশেষে রবিবার দুপুরেই মারা যান তিনি।

উল্লেখ্য, গ্রামের ‘চানা পওল’ একটি ধর্মীয় খ্রিস্টান গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন জিয়ানা৷ সেই গোষ্ঠী বহুবিবাহে বিশ্বাসী। ১৭ বছরে প্রথম বিয়ে করেন জিয়ানা। প্রথমা স্ত্রী ছিলেন তিন বছরের বড়। এরপর একাধিকবার বিয়ে করেন তিনি৷ শেষ বিয়ে ২০০৪ সালে। জিয়ানার গ্রামে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল দেখার মতো। ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯ জন ছেলেমেয়ে ও ৩৩ জন নাতি-নাতনি নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাঁর৷ সবাই একসঙ্গে মিলেমিশেই থাকতেন।

জিয়ানার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮০ জনেরও বেশি। পরিবারের সব সদস্যরা একসঙ্গে থাকার জন্য গ্রামে একটি চারতলা বাড়িও তৈরি করেছিলেন জিয়ানা। ১০০'র বেশি ঘর বিশিষ্ট সেই বাড়িতে তাঁর পরিবারের সকলেই থাকেন। শুধুমাত্র জিয়ানার মেয়েরা তাঁদের স্বামী সংসার নিয়ে অন্য জায়গায় থাকে। পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ভালো। সেই সঙ্গে গোষ্ঠীর ভক্তরাও অনুদান দিতেন। সব মিলিয়ে বিলাসবহুল ভাবেই দিন কাটাতেন জিয়ানা। তবে সেসব কিছুই ফেলে রবিবার তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।

https://twitter.com/ZoramthangaCM/status/1404040324251488258?s=20

পরিবারের পাশাপাশিই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গাও। এদিন তিনি ট্যুইট করেন, "৭৬ বছরের মিস্টার জিওনাকে গভীর বেদনার সঙ্গে বিদায় জানাচ্ছে মিজোরাম। ৩৮ জন স্ত্রী এবং ৮৯ জন সন্তান-সহ তিনিই সম্ভবত ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের কর্তা। তাঁর পরিবারের জন্য মিজোরাম এবং বক্তওয়াং ল্যাংনুয়াম গ্রাম রাজ্যের ট্যুরিস্ট আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।"