বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মিলল হারানো পদ, হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদে ফের বহাল হলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন!

০২:৩৩ পিএম, জুলাই ৫, ২০২১

মিলল হারানো পদ, হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদে ফের বহাল হলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন!

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদে ফের বহাল হলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। প্রাক্তন ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে দেওয়া হল তাঁর পুরনো পদ। রবিবারই এই সিদ্ধান্ত নিলেন সংস্থার ওম্বুডসম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দীপক বর্মা। পাশাপাশি পুরো অ্যাপেক্স কাউন্সিলকেও বাতিল করা হয়েছে৷ সাময়িক ভাবে দীপক বর্মার তরফে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে জানানো হয়েছে, সহ-সভাপতি কে জন মনোজ, আর বিজয়ানন্দ, নরেশ শর্মা, সুরেন্দর আগরওবাল এবং অনুরাধাকে নির্বাসিত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই অ্যাপেক্স কাউন্সিল দ্বারাই কিছুদিন আগে নির্বাসিত হয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, BCCI-এর অনেক নিয়ম তিনি মানেননি। সংস্থার সংবিধানের নিয়ম ভেঙেছেন। এমনকি আজহারের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগও উঠেছিল। এছাড়াও অ্যাপেক্স কাউন্সিলের দাবী ছিল, আজহার দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য। সেখানে এমন একটি লিগে তিনি খেলেন যা BCCI স্বীকৃতি দেয় না। সে কথা BCCI জানাননি তিনি। এছাড়াও হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যরাও আজহারের বিরুদ্ধে BCCI-তে অভিযোগ জানান।

এরপরই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ধের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় অ্যাপেক্স কাউন্সিল। গত ২৫ মে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে আজহারের বিরুদ্ধে শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৫ জুন তাঁকে শোকজও করা হয়েছিল। তারপরই তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু সেই আদেশের সমালোচনা করলেন বর্মা৷ জানিয়ে দিলেন, নিজে থেকে অ্যাপেক্স কাউন্সিল এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

সংস্থার ওম্বুডসম্যান প্রাক্তন বিচারপতি বর্মা জানান, "নিজে থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অ্যাপেক্স কাউন্সিলের নেই। তাই কাউন্সিলের ৫ সদস্যের নেওয়া আজহারউদ্দিনকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে এটা স্পষ্ট যে, ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেওয়ার বদলে কিছু কর্তা নিজেদের মধ্যে রাজনীতির খেলা খেলছেন। এতে ক্রিকেট সংস্থার আসল কাজ ব্যাহত হচ্ছে।" পাশাপাশি ওই ৫ সদস্যকে শোকজও করা হয়েছে। তাঁদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ দর্শানোর আদেশের সঙ্গেই ভবিষ্যতে আজহারের বিরুদ্ধে যাতে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাও জানানো হয়েছে।