বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে ভোট যুদ্ধ। সম্পন্ন হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোট প্রক্রিয়া। আর আজ চলছে চতুর্থ দফার ভোট। রাজ্যের মোট ৫ টি জেলার ৪৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। যার মধ্যে রয়েছে, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো দক্ষিণবঙ্গের জেলা আবার একইসঙ্গে রয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। বাকি রইলো আর ৫ দফার ভোট। রাজ্যের শাসক দলে কে আধিপত্ত বিস্তার করবে তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক বিরোধ। অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। চতুর্থ দফার ভোটে সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অশান্তি এবং রক্তপাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তারমধ্যে অন্যতম শীতলকুচির মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রসঙ্গত আজ চতুর্থ দফার ভোটে সবথেকে মর্মান্তিক ঘটনা হল কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন যুবকের মৃত্যু। বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় মৃত সকলেই তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই ওই যুবকদের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। আর এই মর্মান্তিক ও ধিক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কমরেড মহম্মদ সেলিম।
https://www.facebook.com/salimcomrade/posts/303132074506879উল্লেখ্য তিনি বলেন, “আজকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা এবং তাতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। গণতন্ত্রের উৎসবকে রক্তের হোলি দিয়ে কলুষিত করবার এই ঘৃণ্য ‘খেলা’র তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত সকল গণতন্ত্রপ্রিয়, শান্তিকামী মানুষের। সত্ত্বর এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীও নিজের দায় অস্বীকার করতে পারেন না। তিনি বারংবার নিজের সমর্থকদের হিংসাত্মক করে তুলতে চেয়েছেন, উস্কানি দিয়েছেন। বারবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করা সত্ত্বেও তারা এব্যাপারে উদাসীন থেকেছে। দুঃখজনকভাবে, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সমাজের একাংশকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন ও তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে গদি বাঁচাতে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ করেন না। শীতলকুচির এই মর্মান্তিক ঘটনা ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন।“