"এতগুলি পুজো উদ্বোধন করলাম কেউ এক কাপ চা দেয়নি"। দক্ষিণ কলকাতার এক পুজো উদ্বোধনে গিয়ে এমনটাই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ভবানীপুর ৭৬ পল্লীর পুজো উদ্বোধন এগিয়ে নষ্টালজিক হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০০টির বেশি পুজো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব জায়গায় গিয়েই বক্তব্য রেখেছেন নিজের। উদ্যোক্তাদের আবদার মিটিয়েছেন যথাসাধ্য। কিন্তু কোথাওই তাকে এক কাপ চা খেতে দেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপ করেন তিনি। এতে অবশ্য ক্লাব উদ্যোক্তাদের কোন দোষ দেখেননি তিনি।বরং জানিয়েছেন, এই ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনভাবেই চা দেওয়া সম্ভব নয়।
দুঃখ প্রকাশ করে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। আর কখন থেকে করছি বলুন তো! অন্তত ১০০টি প্যান্ডেল ঘোরা হয়ে গেল। কাল অনেকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু একটা জায়গায় খেয়েছিলাম। পরশু আমাদের কেউ এক কাপ চা দেয়নি। ওদেরও দোষ নেই। আমরা টাইম পাই না।'' একইসঙ্গে জানান, ''আজকে তোমরা চা দিয়েছো। এটা আমার নিজের পাড়া। নিজের পাড়ার মেয়ে হিসেবে চেয়ে খাচ্ছি।''
শনিবার ভবানীপুরের ৭৬ পল্লীতে গিয়ে মমতা স্মৃতি মেদুরতায় ডুবে গিয়ে বলেন, ''আপনারা জানেন এই পাড়ার অলিগলি আমি সব চিনি। এখানে ছোটবেলায় স্কুলে চাকরি করতাম। ছোটদের পড়াতাম। আমার অনেক ছাত্রছাত্রী আছে এই পাড়ায়।''
অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গড়িয়াহাটের হিন্দুস্তান পার্কের পুজোতে সঙ্গে হাজির ছিলেন রাজারহাট নিউটাউনের প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। দল বদলের পর সব্যসাচীর উপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই পুজো মণ্ডপেই মুখ্যমন্ত্রী ও সব্যসাচী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক দেবাশিষ কুমার।