বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারির সুফল মিলছে। ক্রমশ সুস্থতার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। তবে, রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ওঠানামা অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের নিম্নমুখী রাজ্যের করোনার দৈনিক সংক্রমণ। অনেকটা কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭১১ জন। এই সংখ্যাটা গতকালের থেকে কম। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬৬ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০১ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ সামান্য হলেও কম। গতকাল এই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬ জন। তবে, এই জেলায় বেশ কয়েকদিন পরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১০০ পার করল। দ্বিতীয় স্থানে ফের উঠে এল কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং। একদিনে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ জন। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। তাছাড়া বাকি সব জেলা থেকেই এদিন কমবেশি নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫০ জন।
একদিনে করোনায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গতকাল রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা। একদিনে সেখানে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ হাজার ১২৮ জনের। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.০৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ২০৯ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৬৫ জনের।
এদিকে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ফের বাড়ানো হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। বলা হয়েছে, সরকারি কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে, আসন সংখ্যা ৫০ শতাংশ রেখে, লোকজন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে মানতে হবে করোনা বিধিনিষেধ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে পরতে হবে মাস্ক। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও। রাত ন'টা থেকে ভোর পাঁচ'টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কার্ফু।
এছাড়া রাজ্যে জারি থাকা বিধিনিষেধে তেমন কোনও বদল নেই। দোকান, বাজার নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খোলা থাকবে। ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে মেট্রো পরিষেবা। চলছে বাস এবং জলযানও। তবে, অনেকেই আশা করেছিলেন, আগস্টের শুরু থেকেই হয়তো চলবে লোকাল ট্রেন। তবে, নবান্নের জারি হওয়া নির্দেশিকায় সে বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।