বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রহস্যজনক! ওয়েলসের সমুদ্রতটে দেখা মিলল ২৩ ফুটের মুখবিহীন সামুদ্রিক প্রাণীর

০৭:৪০ পিএম, মার্চ ৫, ২০২১

রহস্যজনক! ওয়েলসের সমুদ্রতটে দেখা মিলল ২৩ ফুটের মুখবিহীন সামুদ্রিক প্রাণীর

সম্প্রতি ওয়েলসের এক সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলল ২৩ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘ্যের একটি রহস্যময় সামুদ্রিক প্রাণীর। তবে জীবিত অবস্থায় নয়। সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে এসেছে প্রানীটির দেহাবশেষ। যা প্রায় চার টন ওজনের এবং মুখবিহীন। তা নিয়ে ওয়েলসের বৈজ্ঞানিক মহলে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাণীটির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণার উদ্দেশ্যে তা পাঠানোও হয়েছে বৈজ্ঞানিকদের।

গত সপ্তাহে ওয়েলসের পামব্রোকশায়ার ব্রড হ্যাভেন সাউথ বিচে ভেসে ওঠে প্রাণীটির দেহাবশেষ। যুক্তরাজ্যের সিটিসিয়ান স্ট্র্যান্ডিংস ইনভেস্টিগেশন প্রোগ্রামের অংশীদার সংস্থা মেরিন এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং সম্প্রতি ফেসবুকে সেই দেহাবশেষের ছবি শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সেটি বৃহদাকার মাথাবিহীন কোনও প্রাণীর শব। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি ফোন কলের মাধ্যমে সংস্থাটি এই সামুদ্রিক প্রাণীটির কথা জানতে পারে। তখন প্রথমে সেটিকে তিমি মাছ হিসাবে সন্দেহ করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুল ভাঙে বিজ্ঞানীদের। "পৌঁছে পরিষ্কার হয় যে এটি তিমি নয়, পরিবর্তে কোনও বৃহৎ আকারের মাছ"- একথাই ফেসবুকে লিখেছিল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং সংস্থাটি। [embed]https://www.facebook.com/Marine.Environmental.Monitoring/posts/202979071610555[/embed]  

প্রাণীটির পেটের ভিতর একটি বৃহৎ দণ্ড জাতীয় কিছু আবিষ্কার করেন তাঁরা। পরে দেখা যায়, সেটি প্রাণীটির মেরুদণ্ডেরই অংশবিশেষ। প্রাণীটি 'বাস্কিং হাঙ্গর' হতে পারে বলেও চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। যদিও দেহাবশেষ পচে যাওয়ার ফলে বিজ্ঞানীরা এখনও এর সঠিক পরিচয় জানাতে পারেননি।

দ্য মিরর-এর মতে, প্রাণীটির আসল পরিচয় আবিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই দেহাবশেষগুলিকে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওয়েলসের সিএসআইপি স্ট্র্যান্ডিং কো-অর্ডিনেটর ম্যাথিউ ওয়েস্টফিল্ড দ্য মিররকে জানিয়েছেন, "খুব খারাপভাবে পচে গেছে বলে এটি যে কী প্রাণী তা বলা খুবই কঠিন। তবে আমরা ছবি তুলেছি, বেশ কয়েকটি নমুনা নিয়েছি এবং লন্ডন চিড়িয়াখানার সঙ্গেই আমরা সেগুলিকে প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘরের কিছু বিশেষজ্ঞ দলের কাছে পাঠিয়েছি। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।" তবে আসল পরিচয় জানা গেলেও, কী কারণে এর মৃত্যু ঘটেছে তা জানার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।