শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রাজভবন ও কমিশনে ৪৮ ঘন্টা পর রিপোর্ট জমা পড়ল নন্দীগ্রাম কাণ্ডের

০৯:৫৪ পিএম, মার্চ ১২, ২০২১

রাজভবন ও কমিশনে ৪৮ ঘন্টা পর রিপোর্ট জমা পড়ল  নন্দীগ্রাম কাণ্ডের

৪৮ ঘন্টা পর রিপোর্ট জমা পড়ল নন্দীগ্রামের ঘটনার। শুক্রবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব রাজভবনে রাজ্যপাল জগদিপ ধনকরের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। এদিন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান। অন্যদিকে রাজভবন থেকে টুইট মারফত একথা জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই চোট আঘাত না ষড়যন্ত্র। তা নিয়ে ক্রমশ চড়তে থাকে রাজনৈতিক পারদ।

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর রাজভবনে গিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনেও সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। কমিশনের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও গতকাল সকালেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছিলে রাজ্যের কাছে। সেই মতো এদিন বিকেলে গিয়ে রাজভবনে সেই রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পুলিশ প্রধান নীরজনয়ন।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1370366624931319808 https://twitter.com/jdhankhar1/status/1370365741594157061

অন্যদিকে এদিন রাজ্যের বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ঘটনার সরজমিনে তদন্তের জন্য নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। তার অনেক আগেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে রিপোর্ট জমা পড়ে যায়। এই রিপোর্ট দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিল্লি কমিশন গ্রহণ করবে এমনটাই সাংবাদিকদের জানান অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু।

নবান্ন সূত্রের খবর, যে রিপোর্ট মুখ্যসচিবের কাছে জমা পড়েছে সেখানে লেখা আছে, হঠাৎ দরজা বন্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগে। প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা নেই কী কারণে দরজা বন্ধ হল। কেউ দরজায় ধাক্কা দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়েছিল কি না সেই সংক্রান্ত তথ্যও নেই। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনে এই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনার পর যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকি, রাজ্যপালের গাড়িতে যে জুতো ছোড়া হয়েছিল সেই বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার উপর আলোচনা হয়েছে বলে লেখেন রাজ্যপাল। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুনীল গুপ্তও ছিলেন বৈঠকে।