শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আর মাত্র একমাস পরই বাংলায় আসছে আসল পরিবর্তন! জয়নগরের সভা থেকে হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদীর

০৪:০০ পিএম, এপ্রিল ১, ২০২১

আর মাত্র একমাস পরই বাংলায় আসছে আসল পরিবর্তন! জয়নগরের সভা থেকে হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট। আজ মোট ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় ভোট রয়েছে, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। প্রথম দফার ভোটের মতোই নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

এদিকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীন আজ জয়নগরে নির্বাচনী প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানে তিনি জনসভা করেন। আর জয়নগরের জনসভা থেকে ফের আত্মবিশ্বাসের সুরে বলে দিয়ে গেলেন যে, ‘আসল পরিবর্তন আর মাত্র একমাস দূরে।

এদিন জয়নগরের নির্বাচনী জনসভায় ফের একবার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, ‘এবার বাংলায় বিজেপি ২০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে। বিজেপির ঢেউ উঠেছে। নরেন্দ্র মোদী এদিন ফের একবার নিমতায় বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে, ‘শোভা দেবীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। অবাক লাগে, এত অত্যাচারের পরেও দিদি কুল কুল বলেন। দিদি তৃণমূল কুল নয়, বাংলার মানুষের কাছে শূল। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল অত্যাচারের শূল। দিদি আপনাকে হত্যার হিসেব দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, ‘আর রক্তের খেলা চলবে না। অত্যাচারের খেলা চলবে না।’ তিনি এও বলেন যে, ‘দিদি ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গেলেন। বাংলায় ভোটের গতিবিধি বলছে দিদির এবার হার নিশ্চিত।’

আজ জয়নগরের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে, বিজেপির বিরুদ্ধে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ-বিজেপি নেতাদের চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গও টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন যে, ‘দিদি হারের ভয়ে দেশের কিছু নেতাকে চিঠি লিখেছেন। যদি গত ১০ বছরে বাংলার জন্য কাজ করতেন, তাহলে এক জায়গায় ৩ দিন থাকতে হত না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে মোদী বলেন যে, ‘দিদি ঘাবড়ে গিয়ে আগেই ইভিএমের দোষ দিয়েছেন। জয় শ্রীরাম স্লোগানে মমতার সমস্যা। দুর্গা বিসর্জন নিয়েও মমতার সমস্যা। এখন দিদি তিলক দেখলেও রেগে যাচ্ছেন। দিদি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছেন। উত্তরপ্রদেশ, বিহার সম্পর্কে যে মন্তব্য করছেন, তা দিদির রাজনৈতিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’

এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, ‘আমাকে যতো ইচ্ছে গালি দিন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আস্থা, রামকৃষ্ণ পরমহংস ও চৈতন্য মহাপ্রভুর সংস্কারকে গালি দিতে দেব না। আমি বাংলাদেশে গিয়ে ওড়াকান্দিতে মতুয়া মন্দিরে গিয়েছিলাম। তাতেও দিদি রেগে গিয়েছিলেন। হরিচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করা কি অপরাধ!’ জয়নগরের সভা থেকে মোদি আরও বলেছেন, ‘দিদি আমি মরসুমি ক্ষমতাধারী লোক নই। খেলার মাঠ ছিল, আছে, থাকবে। বিজেপির জন্য বাংলা উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্পর মাঠ হয়ে উঠবে। সোনার বাংলার লক্ষ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করবে। নিজেদের আস্থায় গর্বিত আমরা। অনুপ্রবেশকারীদের খুশি করার জন্য দিদি বাংলার লোকেদের ভুলে গিয়েছেন।’

মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন যে, ‘দিদি বাংলার কৃষকদের জন্য ভাবেননি, ক্ষতি করেছেন। ২ মে বিজেপির সরকার গঠনের পরই কৃষক প্রকল্পের টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি ৩ বছরের বকেয়া টাকাও কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। মৎস্যজীবীদের কাছ থেকেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল সরকার। আসল পরিবর্তন আর মাত্র একমাস দূরে।’