শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে রাশিয়া? ফোনে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা মোদীর

০৪:০৪ পিএম, আগস্ট ২৪, ২০২১

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে রাশিয়া? ফোনে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা মোদীর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। তালিবানি দখলে যাওয়ার পর থেকেই অশান্ত কাবুল। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তিত গোটা দেশ, ভীত ভারতীয়রাও। তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার আগেই পরিস্থিতি বুঝে, দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছেন আফগানিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এই মুহূর্তে ভারতের কাছে প্রথম লক্ষ্য হল, আফগানিস্তানের মাটিতে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরানো। ইতিমধ্যেই শতাধিক ভারতীয়কে উড়িয়ে নিয়ে এসেছে বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। তবে, এখনও অনেকেই আটকে।

শুধু ভারতীয় নাগরিকরাই নন, আফগান শিখ ও হিন্দুদেরও ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এই পরিস্থিতিতে, কিছুটা স্বস্তির খবর শুনিয়েছে মার্কিন সেনা। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে যে, আফগানিস্তানে আটকে থাকা দেশের নাগারিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাবুল থেকে দৈনিক দুটি বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে প্রায় ৪৫ মিনিট আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের বর্তমান অশান্ত ও ভয়ঙ্কর পরিবেশ নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে নিজের অবস্থান জানায়নি ভারত। অন্যদিকে, কাবুল তালিবানদের দখলে যাওয়ার পর, তাদের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। তবে, আমেরিকার চলে যাওয়ার পর, আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান কী হয়? তা ভারতের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রধান করণ হল, আফগানিস্তানের মাটিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করা হলে, রাশিয়ার ভূমিকা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

https://twitter.com/ANI/status/1430094284598824961

অন্য একটি সূত্রের খবর মোতাবেক, তালিবানদের বিরুদ্ধে নর্দান অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করছে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী তাজিকিস্তান৷ এদের সঙ্গে আবার রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ভাল। কাজেই সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে তালিবানদের ক্ষমতা কায়েম হওয়া নিয়ে রাশিয়ার ভূমিকা কী হয়, সে বিষয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই চিন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, আফগানিস্তানে তালিবানরা সরকার গঠন করলে, তারা সমর্থন জানাবে। পাকিস্তান শুরু থেকেই তালিবানদের পাশে রয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান ভারতের জন্য ক্রমশ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।