শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা ভ্যাকসিন নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সেই মুহূর্তের ছবি

০৯:১৩ এএম, মার্চ ১, ২০২১

করোনা ভ্যাকসিন নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সেই মুহূর্তের ছবি

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ থেকে করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে। আজ থেকে এই দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকা পেতে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনা টিকা। এর পাশাপাশি এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে।

আজ করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হতেই, এই প্রথম করোনা টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, তিনি কোন টিকা নিয়েছেন তা জানা যায়নি। অনেকদিন ধরেই এই প্রশ্নটা দেশের মানুষের মনে ছিল যে, দেশের মন্ত্রীরা কবে করোনা টিকা নেবেন? পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিজে কবে করোনার টিকা নেবেন? এবার প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলল।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানালেন যে, তিনি AIIMS বা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স থেকে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি করোনা টিকা নিয়ে করোনা-মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন।

https://twitter.com/narendramodi/status/1366200664402006016 https://www.facebook.com/narendramodi/posts/10164979661655165

উল্লেখ্য, আজ থেকে এই দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকা পেতে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এর পাশাপাশি এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, করোনা টিকাকরণ দেওয়া শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স প্রভৃতি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের দিয়ে। করোনা টিকা নিয়ে ঘোষণায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আপাতত সরকারি কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলবে।

এই কো-মর্বিডিটির তালিকায় ২০টি শারীরিক সমস্যাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। এক বছরের মধ্যে কোনও ব্যক্তি যদি হার্ট ফেলের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন, তবে তাঁদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

দেশজুড়ে করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের করোনা টিকা দেওয়ার কথা স্থির হয়। কো-মর্বিডিটির ২০টি তালিকা সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে গত এক বছরে হার্ট ফেলের সমস্যা, হৃদযন্ত্রের অন্য কোনও সমস্যা, ডায়াবিটিস, হাইপারেনশন, স্ট্রোক, কিডনি/ লিভার/ স্টিম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইত্যাদি একাধিক বিষয়। সরকারি হাসপাতালে টিকা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এছাড়া প্রাইভেট হাসপাতালে আয়ুস্মান ভারত সহ অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্য যোজনার আওতায় মিলবে ভ্যাকসিন। তবে সেক্ষেত্রে চার্জ লাগবে।

১ মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হচ্ছে। ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হবে এই করোনার টিকা। সরকারি ক্ষেত্রে এই টিকা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে এই টিকা নিতে গেলে দিতে হবে টাকা। সরকারের তরফে ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকাকরণের সময় বয়সের প্রমাণপত্র (আধার কার্ড বা EPIC কার্ড) দেখাতে হবে। এছাড়া কো-মর্বিডিটি থাকলে তার তথ্যও দেখাতে হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে নতুন করে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ করা গেছে। এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে আবারও। এই পরিস্থিতিতে আম নাগরিকদের আজ থেকে টিকাকরণ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।