বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

RTPCR-র সাহায্যে এবার মুশকিল আসান! মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই জানা যাবে ওমিক্রন আক্রান্ত কি না

০৮:১৪ পিএম, জানুয়ারি ৫, ২০২২

RTPCR-র সাহায্যে এবার মুশকিল আসান! মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই জানা যাবে ওমিক্রন আক্রান্ত কি না

দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। বিশেষ করে কোভিডের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তবে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সেই লড়াইয়ে এবার আরও এগোলো দেশ। কীভাবে? এবার থেকে আরটিপিসিআর (RTPCR) পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে কোনও ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না। শুধু তাই নয়, সেই রিপোর্ট আসবে মাত্র ৪ ঘণ্টায়।

বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তদের আরটিপিসিআর রিপোর্ট আসতে বেশ দেরী হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটাতেই একটি বিশেষ আরটিপিসিআর কিটকে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল। ওমিক্রন শনাক্ত করার জন্য এই আরটিপিসিআর কিট যৌথভাবে তৈরি করেছে টাটা এমডি এবং আইসিএমআর (ICMR)। এই প্রসঙ্গে আজ আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব সংবাদমাধ্যমে জানান, দেশের অধিকাংশ শহরে দ্রুত ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। এর থেকে বাঁচতে ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সংক্রমণের গতি কমবে। এর মধ্যেই একটা ভালো খবর হল, ওমিক্রন সনাক্ত করার জন্য আমাদের দেশে একটি আরটিপিসিআর কিট তৈরি হয়েছে। ওই কিটটি ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওমিক্রন টেস্টের রিপোর্ট দেবে।

বর্তমানে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ওমিক্রন শনাক্ত করা গেলেও এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। তার উপর দেশে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে টাটা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস এবং আইসিএমআরের তৈরি এই আরটিপিসিআর টেস্ট কিটের মাধ্যমে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই ওমিক্রন টেস্টের রিপোর্ট চলে আসবে। এমনিতে বর্তমানে করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য সময় লাগছে ৫-৭ দিন। তাই সেভাবে থেকে দেখলে এই নতুন কিটটি করোনা নির্ণয়ে একটি বড় দিশা দেখাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ওমিক্রন পরীক্ষার জন্য এই আরটিপিসিআর টেস্ট কিটের নাম দেওয়া হয়েছে ওমিসিওর। এর মাধ্যমে এস-জিন টার্গেট ফেলিওর (SGTF) পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে। বর্তমানে দেশে ওমিক্রন শনাক্ত করার জন্য যে কিটটি ব্যবহার করা হয়, সেটি মার্কিন সংস্থা থার্মো ফিশার দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সেই কিটটিতেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য এই একই পদ্ধতি অর্থাৎ, এস-জিন টার্গেট ফেলিওর কৌশল ব্যবহার করা হয়। মার্কিন কোম্পানির ওই কিটটিকে বাদ দিলে ওমিসিওরই হচ্ছে ভারতে তৈরি একমাত্র ওমিক্রন নির্ণায়ক কিট।তবে এই নতুন কিটটি মার্কিন কিটের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।