বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার আসল যোগ্য এই ক্রিকেটার! কার উদ্দেশ্যে এমন দাবী রোহিত শর্মার?

১০:০৪ পিএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার আসল যোগ্য এই ক্রিকেটার! কার উদ্দেশ্যে এমন দাবী রোহিত শর্মার?

ওভাল টেস্টে ইংরেজদের বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাঘাতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতীয় দল। ১৯৭১ সালে এই মাঠে শেষবার জিতেছিল অজিত ওয়াদেকরের ভারত। দীর্ঘ ৫০ বছর পর ফের কেনিংটন ওভালে টিম ইন্ডিয়ার জয়জয়কার। হেডিংলেতে হারের বদলা নিয়ে ওভালে ইংরেজদের ১৫৭ রানে দুরমুশ করেছে ভারতীয়রা৷ আর এই জয়ের পিছনে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ম্যাচ জেতানো ১২৭ রানের দৌলতেই ঐতিহাসিক জয় এসেছে ভারতের মুঠোয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়েছে রোহিত শর্মাকেই।

তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে বিদেশের মাটিতে এই প্রথমবার সেঞ্চুরি করলেন রোহিত। স্বাভাবিকভাবেই এই শতরান তাঁর নিজের কাছে খুবই 'স্পেশ্যাল'। এই বিষয়ে ভারতের তারকা ওপেনার জানান, "আমি মাঠে বেশি সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসটি খুবই স্পেশ্যাল এবং সেঞ্চুরিটিও। আমার ইনিংস দিয়ে দলকে আরও ভালো পৌঁছে দিতে পেরে বেশ খুশি।" তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর রোহিতের নিজের মত, এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য দাবীদার আসলে তিনি নন, বরং তাঁরই এক অন্য সতীর্থ। কার নাম নিলেন তিনি?

হিটম্যানের দাবী, ভারতীয় পেসার অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুর তার চেয়েও বেশি এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এর পিছনে কারণও ব্যাখ্যা করেন রোহিত৷ তাঁর মতে, "শার্দূল ঠাকুর এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। দুই ইনিংসেই ভালো ব্যাটিং করেছেন তিনি। এছাড়া বোলিংয়েও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ঠাকুর। তাই আমার চেয়েও এই পুরস্কার তাঁরই প্রাপ্য।"

উল্লেখ্য, ওভাল টেস্টে শার্দূল ঠাকুরের ভূমিকা ছিল সত্যিই নজরকাড়া। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৩৬ বলে ৫৭ রান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬০ রান করেন তিনি। এছাড়াও উভয় ইনিংসে মিলিয়ে মোট তিনটি উইকেট নেন শার্দূল। তার মধ্যে একটি আবার ইংরেজ ক্যাপ্টেন জো রুটের৷ যিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলে কপালে দুঃখ ছিল ভারতের। কিন্তু তাঁকে হাত খুলতে দেওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে পাঠান ঠাকুর। ভারতীয় পেসার অলরাউন্ডারের এহেন পারফরম্যান্সেই মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। তাঁর ভক্ত হয়ে উঠেছেন স্বয়ং রোহিত শর্মাও। তাই রোহিতের মুখে বারবার ঝরে পড়ছে শার্দূলের প্রশংসা।