শুধু বিপিন রাওয়াতই নন, ৫ বছরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ভারতীয় সেনার এই ১৫টি হেলিকপ্টারও!

এখনও তাজা গত ৮ ডিসেম্বরের সেই ভয়ানক স্মৃতি। সেই অভিশপ্ত দিনটিতেই তামিলনাড়ুর কুন্নুর থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে নীলগিরিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সিডিএস বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার। নীলগিরি পর্বতের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে আগুনে জ্বলে ওঠে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার এমআই-১৭। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান হেলিকপ্টারে থাকা সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ আরও ১৩ সেনা। একমাত্র জীবিত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং শেষ লড়াই চালালেও গত বুধবার তিনিও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে সারা দেশ জুড়েই নেমেছে শোকের ছায়া। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা এবং সামরিক কপ্টারগুলি গুণগত মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই উঠে এল আরেকটি তথ্য, তা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানিয়েছেন, শুধু বিপিন রাওয়াতের কপ্টারই নয়, গত পাঁচ বছরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোট ১৫টি সামরিক কপ্টার। তার মধ্যে রয়েছে ৪টি এমআই-১৭ কপ্টারও।

প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ১৫ টি সেনা হেলিকপ্টারের মধ্যে ৪টি এমআই-১৭ ছাড়াও রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তির ৬টি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, ৪টি চিতা ও ১টি চেতক হেলিকপ্টার। এই সকল দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াত সহ সাধারণ নাগরিক মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩১ জন।

এই সকল দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল এবারের কুন্নুরের দুর্ঘটনাই। কারণ এবারের দুর্ঘটনাতেই মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশি। সবচেয়ে বড় কথা, এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দেশের প্রথম সিডিএস বিপিন রাওয়াতও। এছাড়াও অন্যান্য দুর্ঘটনার মধ্যে ২০১০ সালে অরুণাচল প্রদেশের দুর্ঘটনাও বেশ ভয়াবহ। সেবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি এমআই-১৭ কপ্টার। প্রাণ হারিয়েছিলেন কপ্টারে থাকা ১২ জন। ২০১৯ সালেও জম্মু ও কাশ্মীরের বদগাওঁয়ে এমআই-১৭ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬ জন সেনা সহ মাটিতে থাকা একজন সাধারণ নাগরিক।