বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যব্যাপী নয়! বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কেবলমাত্র এই জেলা থেকেই লড়বে মিম

০৮:৫৪ পিএম, মার্চ ১৮, ২০২১

রাজ্যব্যাপী নয়! বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কেবলমাত্র এই জেলা থেকেই লড়বে মিম

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথমে শোনা গিয়েছিল বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে, রাজ্যজুড়ে প্রার্থী দেবে মিম। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাস্তবে তা ঘটছে না। রাজ্যব্যাপী নয়, মাত্র একটি জেলা থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম বা মিম৷ আর সেই জেলা হল মুর্শিদাবাদ।

উল্লেখ্য, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করার পর, বাংলাতেও প্রায় সব আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্যের মিম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির কাছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমাও দেওয়া হয়েছিল। এরপর কলকাতায় এসে আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেন ওয়াইসি৷ বাংলার নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দুই দলের মধ্যে জোটের সম্ভবনাও তৈরি হয়। কিন্তু শেষে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় আব্বাসের দল। সেই কারণেই নির্বাচনে একা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না মিম-এর কাছে।

এই পরিস্থিতিতে দলের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। মিমের মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক আসাদুল্লাহ শেখ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, জেলার ২২ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসনে প্রার্থী দেবে মিম। এর বাইরে আর কোনও জেলাতেই প্রার্থী দেবেন না তাঁরা। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের যে আসনগুলি বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং যে আসনগুলিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভাল, সেই আসনগুলিতেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল৷ হায়দরাবাদের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও তেমনটাই নির্দেশ রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি।

এখানেই শেষ নয়, সুত্রের খবর, বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার যে আসনগুলিতে মিম প্রার্থী দেবে মিম, সেখানে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে আসবেন খোদ মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

আর কোথাও নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার পিছনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের যুক্তি, যেহেতু রাজ্যে এখনও দলের সংগঠন সেভাবে তাঁদের ভিত মজবুত করতে পারেনি, তাই শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই প্রার্থী দিচ্ছে মিম। এই মুহূর্তে মিমের একমাত্র এবং প্রধান লক্ষ্য, অল্প আসনে লড়াই করে, ভাল ফল করা। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই হতাশ রাজ্যের অন্যান্য জেলার মিম নেতারা। অনেকেই আবার এই কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে, দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ছাড়ছেনও।