মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

‘আমার অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন’, বললেন বর্ষীয়ান বাম নেতা

০৯:০৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১

‘আমার অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন’, বললেন বর্ষীয়ান বাম নেতা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি মাসের ৩০ তারিখ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জিতলেও, এই কেন্দ্রে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন। তবে, এই মুহূর্তে তাঁকে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে হলে, এই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।

তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। আজ শুরু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচার। এদিন ভবানীপুরে তাঁর প্রথম কর্মী সভার মঞ্চে এক অকল্পনীয় ঘটনা ঘটে গেল। এদিন মঞ্চে হাজির হন স্থানীয় প্রাক্তন বাম নেতা তথা চেতলার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাদল ভট্টাচার্য। শুধু তৃণমূলের ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কর্মী সভার মঞ্চে হাজির হওয়াই নয়, পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ী করার ডাক দিলেন তিনি।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুরু করার আগেই মঞ্চে হাজির হন বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা বাদলবাবু। বছর ৮৪-র এই নেতার বয়সের ভারে সারা শরীর কাঁপছে। কাঁপা কাঁপা গলায় মমতার জয়গান করেন তিনি। মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে তৃণমূল নেত্রীকে প্রণাম জানান প্রাক্তন বামনেতা। সৌজন্য দেখাতে এগিয়ে আসেন তৃণমূল নেত্রীও। অশীতিপর বাদলবাবুর হাত ধরে স্বাস্থ্যের খবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সুস্বাস্থ্যের কামনা করেন তিনি। বাদলবাবু অনুরোধ করেন, ওই মঞ্চ থেকে তিনি কিছু বলতে চান। এরপরই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে মাইকের কাছে নিয়ে যান। বর্ষীয়ান বাম নেতা মাইকে তৃণমূল নেত্রীর নামে জয়ধ্বনি করেন। বলেন, ‘আমি একজন প্রবীণ মানুষ। আমার বয়স ৮৪ বছর। আমার একটাই অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উনি তো গোটা রাজ্য জিতে বসে আছেন। তাহলে আবার কেন ওঁকে লড়াই করতে হবে? ওঁর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াবে কেন? সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সংগ্রামী মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাদলবাবু এলাকায় পরিচিত বাম নেতা হিসেবেই। তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই বাম সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে, বাদলবাবু দল ছেড়েছেন আগেই। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের আগে সেই বর্ষীয়ান বামনেতার গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়গান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।