বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

আরও কড়া কমিশন! দ্বিতীয় দফার আগে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

১০:১৪ পিএম, মার্চ ২৯, ২০২১

আরও কড়া কমিশন! দ্বিতীয় দফার আগে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কিছুটা বাড়াল কমিশন। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় চার জেলায় নির্বাচনে মোট দশ হাজার ৬২০টি বুথের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।

এই দফায় ৬৫১ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে। বাঁকুড়ায় ১৭০, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা য় ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও বারুইপুরের স্ট্রং রুমে ইভিএম পাহারার কাজে ২৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। এছাড়াও প্রায় বারো হাজার রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের দ্বিতীয় দফা বিধানসভা নির্বাচনে ৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণের জন্য মোট ১০ হাজার ৬২০ টি বুথ থাকবে।

রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান , এর মধ্যে মেইন বুথের সংখ্যা ৮ হাজার তিনশো ৩৩ এবং আগসিলারি বুথের সংখ্যা দু হাজার দুশো ৮৭। ভোট দাতাদের সংখ্যার নিরিখে এই তিরিশ টি কেন্দ্রের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ২৫৫ বিষ্ণুপুর এবং সব চেয়ে বড় ২৩০ দাস পুর । তবে ভোট দাতার সংখ্যা সব কেন্দ্রেই ২ লক্ষ্যের বেশি।

এদিকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এদিন সংশ্লিষ্ট চার জেলা বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা র জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

অন্যদিকে রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে পাঁচ জেলার ৪৪টি কেন্দ্রে মোট ৩৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জানালেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু। এদিন কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন এই দফায় ৩৮২ জন মনোনয়ন জমা দিলেও পাঁচ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। চার জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে কুচবিহারে ৭০, আলিপুরদুয়ার ৪২, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ১০৪, হাওড়ায় ৯৩ ও হুগলিতে ৬৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।

পঞ্চম দফার জন্য এখনও পর্যন্ত ১৮১জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এই পর্বে আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ষষ্ঠ দফায় এখনো পর্যন্ত ৩৬ টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সি ভিজিল এপ ও এন জি এস পোর্টালে যথাক্রমে ৩৭৪ ও ৩১০ টি অভিযোগ জমা পড়ে। এখন অবধি সর্বমোট ২৪৮.৯ কোটি টাকার বেআইনি দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।