শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বীরভূমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু! রাজ্যে কালো ছত্রাকে মৃত্যু বেড়ে ২

১০:১৭ পিএম, মে ২৯, ২০২১

বীরভূমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু! রাজ্যে কালো ছত্রাকে মৃত্যু বেড়ে ২

বীরভূমের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু হল শনিবার সন্ধ্যেয়। এদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কালো ছত্রাকের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বৃদ্ধার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার একদিনের মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে রাজ্যে দুজনের মৃত্যু হল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে।

রাজ্যে যখন করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হচ্ছে ঠিক তখনই নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। গতকালই বীরভূমে সন্ধান মিলেছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। শুক্রবার বীরভূমে এক বৃদ্ধার শরীরে ধরা পড়ে এই সংক্রমণ। তারপর থেকেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এদিন সন্ধ্যেয় তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ৮৬ বছরের জামনাতোরা বিবি রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার করোনার চিকিৎসা চলাকালীন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর পরেই বুধবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঐ বৃদ্ধার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে মিউকর মাইকোসিসে আক্রান্ত তিনি।

ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন এবং একই সঙ্গে তার চোখের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যেহেতু আক্রান্তের ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে তাই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

অন্যদিকে রামপুরহাট হাসপাতালে সিএমওএইচ রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, যে সমস্ত রোগীদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সহজেই কাবু করে ফেলছে। অন্যদিকে মূলত করোনা সংক্রামিত বা সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন এমন রোগীরাই কাল ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। পাশাপাশি যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, ক্যান্সার, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদি ধরনের রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক খানি বেশি থাকছে।

এছাড়াও স্টেরয়েডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এই রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। বেশি দীর্ঘ দিন হাসপাতালে থাকলেও ব্র্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এদিকে এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুস সাইনাস, মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এমনকি মিউকর মাইকোসিসের রেনু যদি মস্তিষ্কে চলে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে তা প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।