শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘ওমিক্রনকে সাধারণ সর্দিকাশি ভেবে ভুল করবেন না’! সতর্কবাণী WHO-এর

১২:১৪ পিএম, জানুয়ারি ১৩, ২০২২

‘ওমিক্রনকে সাধারণ সর্দিকাশি ভেবে ভুল করবেন না’! সতর্কবাণী WHO-এর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও একবার বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। নতুন বছর শুরু হয়েছে সেই করোনার আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই। দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। আবারও একবার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। কড়া বিধিনিষেধ জারি এবং সতর্কতার পরেও কাজ হচ্ছে না। কিছুতেই কমছে সংক্রমণ।

এই পরিস্থিতিতে ফের সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন সংক্রামক হওয়ার পাশাপাশি বিপজ্জনকও। ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে ভুল হবে। বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ডেল্টার থেকে কম হলেও ওমিক্রনও বিপজ্জনক। বিশেষত যারা করোনার টিকা নেননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, ‘এই ভাইরাস একেবারেই সাধারণ কিছু নয়। আর এটাকে হালকাভাবে নেওয়াও উচিত হবে না।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন যে, ‘ওমিক্রন ডেল্টার থেকে কম ক্ষতিকর বা যাদের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য কম ক্ষতিকর। কিন্তু এটাও বিপজ্জনক। এর সংক্রমণের ফলেও হাসপাতালে ভরতি হওয়ার বা মৃত্যুর ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’ তিনি বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, কোনোভাবেই এটাকে সাধারণ সর্দিকাশি ভেবে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টার যেমন বৃদ্ধি হয়েছিল, ঠিক সেইভাবেই এবার ওমিক্রনের ধাক্কায় এক সুনামির দিকেই এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি দাবি করেছিলেন, যেভাবে ঝড়ের গতিতে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে, তাতে আবারও বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। এর সঙ্গে যেসব দেশ এর আগে ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিয়েছিল, এবার তাদের সতর্ক করলেন টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য ওমিক্রনই শেষ নয়, আরও করোনার নয়া ভাইরাস আঘাত হানবে। আর এইসবের বিরুদ্ধে লড়তে একমাত্র অস্ত্র টিকা। তাই আগামীতে টিকার উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, সমস্ত প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে ২০২২ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ জনতাকে টিকা দিতেই হবে।