করোনা আবহে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল। বদলে বাড়িতে বসেই চলছে অনলাইন ক্লাস। তবে বাড়ি থেকেই পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে পঠনপাঠনের মতো সুবিধা নিতে পারে তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মডেল তুলে ধরেছেন মালদহের এক শিক্ষক। আর সে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসের দিন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সেই পুরস্কার নিতে চলেছেন মালদহের শোভানগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস।
গতবছর দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে বসে স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়, সেজন্য বিশেষ এক পঠন-পাঠন পদ্ধতি তৈরি করে ফেলেছিলেন হরিস্বামীবাবু। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বইয়ের QR কোড তৈরি করেন তিনি। যার ফলে পড়ুয়ারা মোবাইল থেকেই প্রতিটি বই পড়ে ফেলতে পারে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে স্কুলের সব পড়ুয়াকে একসঙ্গে স্কুলে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সে ক্ষেত্রে অর্ধেক পড়ুয়াকে ক্লাসে ও অর্ধেক পড়ুয়াকে বাড়িতে রেখেই ক্লাস করানো যাবে। শুধু তাই নয়! লকডাউন চলাকালীন সকল পড়ুয়া যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, সেজন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। এই কাজগুলির স্বীকৃতিতেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার লাভ তাঁর।
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয়! এর আগে জল সংরক্ষণ ও নিখরচায় শিক্ষণ সামগ্রী তৈরির জন্য হরিস্বামীবাবুকে জাতীয় পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে তাঁর স্কুল পেয়েছিল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার। এবার শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারেরও জন্য উঠল তাঁর নাম। এই প্রসঙ্গে হরিস্বামীবাবু জানিয়েছেন, "করোনা কালে স্কুল বন্ধ থাকলেও সারা বছরই অনলাইনে ক্লাস, সেমিনার করে গিয়েছি। সারা বছর ধরে নানা সামাজিক কাজও করেছি। এই সম্মান পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। গর্ববোধও হচ্ছে৷ আমি কৃতজ্ঞ।"