বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

'জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা ভুলব না'! বিজয় দিবসে মশাল জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

০২:৪০ পিএম, ডিসেম্বর ১৬, ২০২১

'জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা ভুলব না'! বিজয় দিবসে মশাল জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ লড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। তেমনই ভারতও সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের সেন্যদের সাহায্য করেছিল। তাই বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতও এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে। আর এই বছর বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী। দিনটির ৫০ বছর পূর্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ, দু-দেশেই আজ উৎসবের ছোঁয়া।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গতকালই বাংলাদেশে গিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অন্যদিকে, আজ সকালেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বিজয় দিবসের গুরুত্ব সকলকে স্মরণ করান। ট্যুইটে মোদি লেখেন, “বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীর জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা আমাদের মনে রয়েছে। আমরা মিলিতভাবে অত্যাচারী শক্তিগুলির সঙ্গে লড়াই করেছি এবং তাদের পরাজিত করেছি। আজ ঢাকায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দজীর উপস্থিতি প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।”

https://twitter.com/narendramodi/status/1471326939805741059?t=psD969qUyXmLJ0H_lwjS7g&s=19

এদিন সকালেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে পৌঁছে সুবর্ণ জয়ন্তী বিজয় মশাল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হওয়া বীর জওয়ানদের স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

https://twitter.com/ANI/status/1471346654192148484?t=GvTILgyYU0gPOpilFxq8hA&s=19

এরপরই বিজয় মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদি। গত বছর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী যে চারটি মশাল জ্বালিয়েছিলেন, সেই মশালগুলি কন্যাকুমারী থেকে সিয়াচেন ঘুরেছিল। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধক্ষেত্র ও শহিদ হওয়া জওয়ানদের বাড়িতেও মশালগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বছর ঘুরে সেই মশাল ফের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ সেই চারটি মশালই এক করে একটি মশাল জ্বালালেন প্রধানমন্ত্রী।

https://twitter.com/ANI/status/1471348954453266433?t=AQBj4PVoZpR-IToshxKdFA&s=19

অন্যদিকে, এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবে যোগ দেন। ঢাকার ন্যাশানাল প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় প্যারেড করেন বাংলাদেশের জওয়ানরা। সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানেই তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপির তরফে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের তরফেও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস শীর্ষ নেতা। এদিন উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে একটি জনসভাতেও যোগ দেওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। ওই অনুষ্ঠানে ১৯৭১-এর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর জওয়ানরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।