বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘দরকার পড়লে ধার করে বা টাকা ছাপিয়ে খরচ করুন’, দেশের জিডিপি বাড়াতে পরামর্শ পি চিদাম্বরমের

০৯:২৩ এএম, জুন ২, ২০২১

‘দরকার পড়লে ধার করে বা টাকা ছাপিয়ে খরচ করুন’, দেশের জিডিপি বাড়াতে পরামর্শ পি চিদাম্বরমের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মারণ করোনা অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলা, মহামারী পরিস্থিতি তৈরি করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রভাবেই ভেঙে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। এরপর ফের নতুন বছরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই তো করোনার কোপে দেশের অর্থনীতি ও জিডিপি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ৭.৩ শতাংশ। তবে, আরও একটা বছরে দেশের অর্থনীতি যাতে ভেঙে না হয়ে পড়ে, এর জন্য মঙ্গলবারই কেন্দ্রকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।

জিডিপির হার নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘২০২০-২১ অর্থবর্ষ গত ৪ দশকের মধ্যে সবথেকে অন্ধকার বছর ছিল ভারতের জন্য। এই অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিক এই পরিস্থিতির শিকার। প্রথম দুই ত্রৈমাসিকের জেরে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা নেমে আসে। এরপরেও তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকেও পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশ।’

এই অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এবং দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে এবং তা খরচ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে না ভেবে, খরচ করতে হবে। প্রয়োজন পড়লে, ধার করে বা টাকা ছাপিয়ে, যেভাবেই হোক টাকা খরচ করতে হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার এনএসও-র তরফে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির গতি ছিল নিম্নগামী। এই অর্থবর্ষে ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে তা। শেষ তিন মাসে বৃদ্ধির হার ১.৬ শতাংশ।

এই ব্যাপারে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন যে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে সুব্রহ্মন্যম জানিয়েছিলেন যে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু কোথাও তেমন কোনও আশার খবর ছিল না বলেই বলছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকেই লকডাউনের গভীর প্রভাব পড়তে শুরু করে দেশের অর্থনীতিতে। কমতে শুরু করে বৃদ্ধির হার। চাহিদার ঘাটতি শুরু হওয়ায়, বাজার অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের ক্ষতির মুখে দেশের অর্থনীতি।