শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ! প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে এই জেলাগুলিতে, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

০৯:২৬ এএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ! প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে এই জেলাগুলিতে, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার রাত থেকে একটানা মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার একটু বিরতি দিলেও, আকাশের মুখ ভার। রোদের দেখা নেই। বুধবার বিভিন্ন জেলায় মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হয়েছে। এটা আশ্বিন মাস। অথচ আশ্বিনেও বৃষ্টি থামার নাম নেই। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েই চলেছে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হয়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে। এদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে জলযন্ত্রণা। উল্লেখ্য, কলকাতায় সোমবার এত বৃষ্টি হয়েছে যে ১৩ বছরে সেপ্টেম্বরে এত বৃষ্টি কখনও হয়নি৷ সোমবারের প্রবল বৃষ্টির কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকা জলের নিচে৷ শহরের বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন। জেলার চিত্রটাও একই রকমের। চাষের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এখনই এই সমস্যা মিটছে না। নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি চলবে এখনও কয়েকদিন পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, আগেই হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছিল যে, আরও তিনটি নিম্নচাপ অপেক্ষা করে রয়েছে। যার জেরে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। আগেই হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, মায়ানমার উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সাধারণ নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে।

এই নিম্নচাপের জেরে শহরের আকাশ থাকবে মেঘলা। মাঝে মধ্যেইহালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। তবে, ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সবাধিক পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৩ মিলিটার।

শনিবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জানা গিয়েছে, বজ্র গর্ভ মেঘের প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশ এবং ঝাড়গ্রামে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি তৎপর নবান্ন। ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।