
মঙ্গলের বুকে কি প্রাণ রয়েছে? কোনওদিন কি ছিল? থাকলেও তা কত কোটি বছর আগে? এই সব অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ২০২০ সালের জুলাইয়ে মঙ্গলে পাড়ি দিয়েছিল ‘পারসিভিয়ারেন্স রোভার’। এবার সেই প্রশ্নের উত্তরের পথে আরও এক ধাপ এগোল নাসা। গতকাল গভীর রাতে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের মাটি ছুঁল ‘পারসিভিয়ারেন্স রোভার’। মঙ্গলে ফের ইতিহাস সৃষ্টি করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা।
পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাত থেকেই মঙ্গল গ্রহে রোভারটি নামার প্রস্তুতি শুরু হয়। রাত্রি ২.২৫ মিনিট নাগাদ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে সেটি। নাসার সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯ বছর মঙ্গলের মাটিতে থাকবে ‘পারসিভিয়ারেন্স রোভার’। লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে সেটি। সেইসঙ্গে চলবে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করার কাজও। ৪৩টি টেস্ট টিউবে সেগুলিকে সংগ্রহও করা হবে। এরপর সেখান থেকে ৩০ ধরনের পাথর এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে ফিরে আসবে সে।
Behold! @NASAPersevere's first image after completing her #CountdownToMars: pic.twitter.com/pBFNk62zfi
— NASA (@NASA) February 18, 2021
নাসার বিজ্ঞানীরা আশা রাখছেন, রোভার ফিরে এলে গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন এক দিগন্তের হদিশ পেতে পারেন তাঁরা। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, এই অভিযানের সবচেয়ে কঠিন ছিল যানটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার শেষ সাত মিনিট। অবশেষে সব প্রতিকূলতা জয় করে পাঠানোর দীর্ঘ সাত মাস পর মঙ্গলের মাটিতে পা রাখল সেটি। নামার পর ইতিমধ্যেই বিশ্বকে লাল গ্রহটির ছবি পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে রোভার। বিশ্বের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রথম ছবি এর মধ্যেই ট্যুইটও করে দেয় নাসা। ক্যাপশনে লেখা- “Hello, world. My first look at my forever home.”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাসার এই অভিযানে তিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীরও বিশেষ অবদান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রোভারটির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী স্বাতী মোহন।