বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বোসন কণা আবিষ্কার করে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা! গুগল ডুডলে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মান

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ০৫:৩৯ পিএম | আপডেট: জুন ৪, ২০২২, ১১:৩৯ পিএম

বোসন কণা আবিষ্কার করে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা! গুগল ডুডলে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মান
বোসন কণা আবিষ্কার করে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা! গুগল ডুডলে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মান

ভারতীয় তথা বিশ্বের বিজ্ঞানজগতে অন্যতম স্বরণীয় নাম বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। শনিবার এই ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদকেই বিশেষ সম্মান জানাল গুগল। ১৯২৪ সালে আজ থেকে ঠিক ৯৮ বছর আগে, আজকের দিনেই নিজের কোয়ান্টাম ফর্মুলেশনগুলি স্যার অ্যালবার্ট আইস্টাইনের কাছে পাঠিয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ৷ বাঙালি এই বিজ্ঞানীর  ‘কোয়ান্টাম ফিজিক্স’-এ অপরিসীম অবদানকে স্মরণ করেই ডুডলের মাধ্যমে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করন গুগল।

১৮৯৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর৷ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিতে চর্চা শুরু করেন। এই বিষয়েই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে এরপর ১৯১৭ সাল থেকে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন তিনি।

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে ‘গুরু’ মেনেছিলেন সতেন্দ্রনাথ। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে গবেষণার মাধ্যমে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। বোসন কণা সম্পর্কে  বিশ্বকে প্রথম ধারণাও দিয়েছিলেন তিনিই। যদিও ১৯২৪ সালে সেই বিষয়ক গবেষণা পত্র এক জনপ্রিয় জার্নাল ‘ফিলোজফিক্যাল ম্যাগাজিন’-এ পাঠালে তা প্রথমে বাতিল করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আইনস্টাইন-এর কাছে সেই গবেষণাপত্র পেশ করেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সেগুলিকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞান জগতে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বিশেষ কীর্তিই হল আইনস্টাইনের সঙ্গে বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিক্টিক্স। সতেন্দ্রনাথ বসুর এই আবিষ্কার পরবর্তীতে বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। যা বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এক উল্লেখযোগ্য অবদান হিসেবে চিহ্নিত হয়। ১৯৬৪ সালে বোসন কণা সম্পর্কে গবেষণা করেন পিটার হিগজ। সেই সময় এই কণার নাম দেওয়া হয় হিগস বোসন কণা। পরবর্তীতে ২০১২ সালে আবিষ্কৃত হয় এই কণাটি। তখনই বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পান বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ।

বহুমুখী প্রতিভাবান এই মানুষটির বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাতেই আগ্রহ ছিল। সার্বভৌম ভারতের বহু গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কমিটির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। বিজ্ঞানে তাঁর অপরিসীম অবদানের জন্য ১৯৫৪ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন এই বাঙালি বিজ্ঞানী৷ পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে প্রয়াণ হয় তাঁর।