শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পত্তির তালিকায় কী রয়েছে? তাঁর দৈনিক রুটিনই বা কী? জানুন

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২২, ০৩:১১ এএম

দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পত্তির তালিকায় কী রয়েছে? তাঁর দৈনিক রুটিনই বা কী? জানুন
দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পত্তির তালিকায় কী রয়েছে? তাঁর দৈনিক রুটিনই বা কী? জানুন

দেশের প্রথম আদিবাসী নেত্রী ও দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাংবিধানিক পদে আসীন হতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ। তার পরের দিনই ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন দ্রৌপদী। যাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল শিক্ষকতা দিয়ে, আজ তিনিই আসীন হতে চলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে। এই আদিবাসী নেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কতটুকু জানেন দেশবাসী?

জানেন কি দ্রৌপদী মুর্মুর ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ কত? গাড়ি-বাড়ি মিলিয়ে ঠিক কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? এছাড়াও তাঁর দৈনিক জীবন কীভাবে কাটে? প্রতিদিনের রুটিন কী তাঁর? জেনে নেওয়া যাক সেই অজানা তথ্য!

দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পত্তির পরিমাণ কত?

২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছিল সেই অনুযায়ী, ২ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালকিন দ্রৌপদী মুর্মু। উড়িষ্যায় নিজের একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। বিয়ের পর এই স্বামীর সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন দ্রৌপদী। বর্তমানে যেটিকে বিদ্যালয়ে পরিণত করেছেন তিনি। তবে তাঁর নিজের কোনও গাড়ি নেই। এছাড়াও মোট ১৪ লক্ষ টাকার দেনা ছিল তাঁর।

ব্যক্তিগত জীবনে পরপর তিন সন্তান এবং স্বামীকে হারান দ্রৌপদী। আর স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর পরই নিজের বসতবাড়িটিকে বিদ্যালয়ে পরিণত করেন তিনি। আজও প্রতি বছর স্বামী ও সন্তান্দের মৃত্যুবার্ষিকীতে সেই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটান দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি।

দ্রৌপদী মুর্মুর দৈনিক রুটিন কী?

নিয়মে বাঁধা জীবন কাটাতেই ভালোবাসেন দ্রৌপদী মুর্মু। যত ব্যস্ততাই থাকুক নিয়মের অন্যথা হয় না। প্রতিদিন ভোরবেলা সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বেরোন তিনি। বাড়ি ফিরে এরপর ধ্যান এবং যোগব্যায়াম করেন। দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সবসময়ই দুটি বই থাকে। একটি হচ্ছে ভগবান শিবের স্তবের পুস্তিকা। যা থেকে প্রতিদিন ধ্যান করার সময় শিব স্তব পাঠ করে থাকেন তিনি। অন্যটি ইংরাজি অনুবাদের বই। কথাবার্তা বলার সময় যাতে অসুবিধায় না পড়তে হয়, তাই এটি সঙ্গে থাকে তাঁর৷ অন্যদিকে, দ্রৌপদী মুর্মু সময়নিষ্ঠও বটে। কখনই কোথাও পৌঁছতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়না তাঁর।

প্রসঙ্গত, দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২০ জুন, উড়িষ্যার রায়রংপুরে। কর্মজীবনের শুরু ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দপ্তরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসাবে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই কাজে ছিলেন তিনি। আবার ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারে সাম্মানিক শিক্ষিকা হিসেবেও কাজ করেন তিনি। 

রাজনীতি ময়দানে প্রথম অভিষেক একজন কাউন্সিলর হিসেবে। পরবর্তীতে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হন দ্রৌপদী মূর্মু। শুধু তাই নয়, দু-দু‍‍`বার বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি বিজু জনতা দল তথা নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীও হিসেবেও উপস্থিতি ছিল তাঁর। বিজেপির হয়ে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায় রংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০০০ এবং ২০০৪ সালে জয়লাভ করেন দ্রৌপদী। বিজেডি এবং বিজেপি জোট সরকার থাকাকালীন পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দপ্তরের দায়িত্বও সামলান তিনি।এসবের মাঝেই ২০০৭ সালে সেরা বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালও ছিলেন। এবার দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি।