বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

‍‍`দ্রৌপদী‍‍` নাম কে রেখেছিলেন? তাঁর আসল নামই বা কী? স্বয়ং জানালেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২২, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম

‍‍`দ্রৌপদী‍‍` নাম কে রেখেছিলেন? তাঁর আসল নামই বা কী? স্বয়ং জানালেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি
‍‍`দ্রৌপদী‍‍` নাম কে রেখেছিলেন? তাঁর আসল নামই বা কী? স্বয়ং জানালেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি

সোমবার দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। দেশের প্রথম আদিবাসী নেত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী৷ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। দ্রৌপদীই হলেন দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।

তবে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতির সম্পর্কে কতটুকু জানেন দেশবাসী? জানেন তাঁর নাম নাকি প্রথমে দ্রৌপদী ছিলই না! তবে তাঁর আসল নাম কী? উড়িশ্যার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বয়ং জানালেন দ্রৌপদী মুর্মু।

সাক্ষাৎকারে দ্রৌপদী জানান, তাঁর আসল নাম দ্রৌপদী নয়। জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয়েছিল পুটি। তাঁদের পরিবারে সদ্যোজাতর নামকরণ কী অন্য এক পদ্ধতিতে৷ পরিবারে মেয়ে হলে, তার নামকরণ হয় ঠাকুমার নামে। আর ছেলে হলে তার নাম রাখা হয় দাদুর নামে।

তবে এই দ্রৌপদী নাম এল কীভাবে? ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি জানান, এই নাম রাখেন তাঁর এক শিক্ষক। ‘মহাভারত’-এর দ্রৌপদীর নামেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল। স্কুলে পড়ার সময় তাঁর ‍‍`পুটি‍‍` নাম পছন্দ ছিল না ওই শিক্ষকের। তাই এই নাম বদলে ‍‍`দ্রৌপদী‍‍` নাম রাখেন তিনি। তিনি আরও জানান, বিয়ের আগে তাঁর পদবি ছিল টুডু। স্কুল-কলেজেও এই পদবিই ছিল। পরে বিয়ের পর দ্রৌপদীর পদবি বদলে গিয়ে হয় মুর্মু। তারপর থেকে এই পদবিই ব্যবহার করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই প্রথম ভাষণ দেন দ্রৌপদী। তিনি বলেন, "স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণকারী আমিই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। আমি এক ঐতিহাসিক সময়ে এই দায়িত্ব নিতে পেরে সম্মানিত। সকলের আশীর্বাদে আমি প্রগতিশীল একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।"

দেশের নতুন রাষ্ট্রপতির কথায়, "রাষ্ট্রপতি পদে পৌঁছানো আমার ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের কৃতিত্ব। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে, ভারতের দরিদ্ররা শুধু স্বপ্ন দেখতেই নয়, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন। ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমি সমস্ত সাংসদ এবং বিধানসভার সমস্ত সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনার একটি ভোট দেশের কোটি কোটি নাগরিকের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।"

ভাষণে দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, "ভারতের নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে চেষ্টা করব।" পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি চাই মহিলারা আরও ক্ষমতার অধিকারী হোন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলারা তাঁদের অবদান ক্রমশই বাড়িয়ে তুলছেন। গরীব ঘরে জন্ম নেওয়া মেয়ে, প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায় জন্ম নেওয়া এক মেয়ে ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে পৌঁছাতে পারে এটাই আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি।"