বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

মহৎ উদ্যোগ! দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে ৬০০ কোটির সম্পত্তি দান উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসকের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২২, ০২:৩২ পিএম | আপডেট: জুলাই ২২, ২০২২, ০৮:৫১ পিএম

মহৎ উদ্যোগ! দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে ৬০০ কোটির সম্পত্তি দান উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসকের
মহৎ উদ্যোগ! দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে ৬০০ কোটির সম্পত্তি দান উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসকের

সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সময়ে-অসময়ে একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই মানুষের কর্তব্য। অপর মানুষের বিপদে পাশে থাকাই আসল মানবিক দায়িত্ব। আর ঠিক সেই কাজটাই করে দেখালেন উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসক। দুঃস্থ-অসহায়দের সাহায্যার্থে নিজের ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দান করে তিনি গড়লেন মানবিকতার নজির।

মানবিক এই চিকিৎসকের নাম, অরবিন্দকুমার গোয়েল। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের এই চিকিৎসকের। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এলাকার মানুষদের চিকিৎসায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, যে কারও বিপদ-আপদেই সবসময় ছুটে যান তিনি। বিপদে পড়া মানুষগুলির পাশে দাঁড়ান। এমনকি বহু দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাও বিনামূল্যে করার দায়িত্বও নেন ওই চিকিৎসক।

কোভিড কালীন লকডাউনের সময় সকল সাহায্যপ্রার্থীর দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মোরাদাবাদের ৫০টি গ্রাম দত্তক নেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার মানুষজনের খাওয়া-পরার সমস্ত দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন এই চিকিৎসক। একইসঙ্গে বহু দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের পড়াশোনার ভারও নিজেই সামলান তিনি। আর এই মানবিকতার কারণে এলাকার মানুষজনের কাছে অতি প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

 

সমাজের সাহায্যে সবসময় দু-হাত বাড়িয়ে প্রস্তুত থাকেন চিকিৎসক অরবিন্দকুমার গোয়েল। আর এই মহৎ উদ্যোগের জন্য দেশের ৪ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে চারবার পুরস্কৃতও হয়েছেন তিনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রতিভা পাটিল এবং এপিজে আবদুল কালাম এই চিকিৎসকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন পুরস্কারের সম্মান।

 

তবে সম্মান পেয়েও কিন্তু নিজের কাজ থামিয়ে রাখেননি মানবদরদী এই চিকিৎসক। আর সেই প্রমাণ তাঁর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডেই। এবার ফের দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পদক্ষেপ নিলেন তিনি অরবিন্দকুমার গোয়েল। যোগী সরকারের হাতে তুলে দিলেন নিজের প্রায় ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। জানা যায়, ২৫ বছর আগেই নিজের এই সম্পত্তি দানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন ওই চিকিৎসক। এবার সময়মতো তা সেরেই ফেললেন। আর তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের জন্য ইতিমধ্যেই ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে এলাকা জুড়ে।