মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঘন ঘন বঙ্গ সফর মোদীর! বামেদের ব্রিগেডে সভার এক সপ্তাহ পরেই, ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা প্রধানমন্ত্রীর

১০:২১ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১

ঘন ঘন বঙ্গ সফর মোদীর! বামেদের ব্রিগেডে সভার এক সপ্তাহ পরেই, ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা প্রধানমন্ত্রীর
বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে লেগেই রয়েছে বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্বদের বঙ্গ সফর। চলতি মাসেই দু-দুবার মোদীর বঙ্গ সফর রয়েছে। চলতি মাসের ২২ তারিখ হুগলির চুঁচুড়ায় জনসভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তারপর আবার মোদীর রাজ্য সফর রয়েছে চলতি মাসের ২৮ তারিখ। আবার ওই দিনই রয়েছে বামেদের ব্রিগেডে সভা। ২৮ তারিখ রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক সভা করারও কথা রয়েছে। আরও চমক রয়েছে, এখানেই শেষ নয়। বামেদের ব্রিগেডের সভার ঠিক এক সপ্তাহ পর, মার্চের ৭ তারিখ ব্রিগেডে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে দুটি ব্রিগেড রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে, সেদিন থাকবেন তমলুকে। সেখান থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সেই রাজনৈতিক সভামঞ্চে থাকবেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তেমনটাই সূত্রের খবর। তবে, ঠিক কী কী প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের দিন কবে ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে জল্পনা এখন অব্যাহত রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী সফর এবং এইসব প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের দিন। সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলা সফরে হুগলির চুঁচুড়ায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথাও রয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠান এবং একটি প্রকল্পের শিলান্যাসের কথা রয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘন ঘন বঙ্গ সফর, বিশেষ করে ২৮ তারিখের পর, মার্চের ৭ তারিখের ব্রিগেড নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। মোদীর এই ঘন ঘন, বিশেষ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাংলা সফরের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগেই জানা গিয়েছে যে, বামেদের ব্রিগেডে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও এই সভায় রাহুল গান্ধীর আসা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তার খবর পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর আসার কারণেই কি প্রধানমন্ত্রীর এই ব্রিগেডের জনসভা? এদিকে প্রধানমন্ত্রী ২২ ফেব্রুয়ারি চুঁচুড়ায় জনসভার পর, মাঝে একদিনের ব্যবধানেই একই মাঠে জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। জবাবের উত্তর পাল্টা জবাব। তার মানে, প্রধানমন্ত্রী এখানে জনসভায় যা বলবেন, তার পাল্টা উত্তর দিতে পাল্টা সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে চ্যালেঞ্জও জানাবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুগলিতে এখনও পর্যন্ত নিজেদের অস্তিত্ব শক্ত কয়রে উঠতে পারেনি বিজেপি। ১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ টিই রাজ্যের শাসকদলের। আর অন্য দুটির মধ্যে একটি কংগ্রেসের এবং অপরটি সিপিএমের দখলে। তবে বিজেপিও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। বিজেপিও মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হুগলির দখল নেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে নির্বাচনের আগে তেঁতে উঠেছে হুগলির মাটি।