শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! আবারও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

১১:০২ এএম, মার্চ ১৬, ২০২১

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! আবারও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা আবার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার বেলা ১২ টায় এই ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষবার এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এরপর দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধ মানায় মানুষের গাফিলতি দেখানোয়, ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক এবং পঞ্জাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২৬,২৯১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিগত ৮৫ দিনের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এই পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ৷ শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১১৮ জনের। সূত্রের খবর, আগামী বুধবারের বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশব্যাপী চলছে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। যত দিন যাচ্ছে, ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে বিভিন্ন জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও আবার আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গার উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ মার্চ থেকে নাগপুরে চালু হয়েছে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন, যা ২১ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে। দেশব্যাপী লকডাউনে সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, এখানেও সেই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।

শেষ একমাসে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের বাড়বাড়ন্ত দেখেই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি পুনেতেও আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার নাইট কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে মুম্বই শহরব্যাপী স্কুল-কলেজ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ মার্চের পর স্কুল খুলবে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। পুনেতেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। কিন্তু এত সবের পরেও প্রশ্ন উঠছে, মানুষ সচেতন না হলে, আদৌ এভাবে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে?