শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পুলিশের কাজ খতিয়ে দেখতে ছদ্মবেশের আশ্রয় নিয়ে, থানায় থানায় ঘুরলেন খোদ কমিশনার! তারপর...

০৭:০৯ পিএম, মে ১০, ২০২১

পুলিশের কাজ খতিয়ে দেখতে ছদ্মবেশের আশ্রয় নিয়ে, থানায় থানায় ঘুরলেন খোদ কমিশনার! তারপর...

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গল্প-কাহিনী থেকে আমার সকলেই পড়েছি যে, পুরনো দিনে মাঝে মাঝেই শাসক এবং রাজারা ছদ্মবেশ ধারণ করে ভ্রমণে বেরতেন। তাঁদের রাজ্যে কোথায় কি পরিস্থিতি, প্রজারা কেমন আছেন, তাঁদের রাজত্বে-এসবই জানার জন্য। ছদ্মবেশে তাঁদের রাজত্বে পরিস্থিতি ঠিক কি, তা সহজেই জানা যেত। পুরনো হলেও, সেই উপায় কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই এখনও সেই পুরনো পন্থার আশ্রয় নিয়ে থাকেন অনেকেই, আসল পরিস্থিতি বা সত্যিটা জানার জন্য। কখনও তা প্রকাশ্যে আসে। আবার কখনও আসে না।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। পুনের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশও এই পুরনো দিনের শাসকদের পন্থায় বিশ্বাসী। তাই তাঁর দায়িত্বে থাকা থানাগুলিতে কতটা সুষ্ঠুভাবে কাজকর্ম চলছে, তা খতিয়ে দেখতে এবার এক মুসলিম পাঠানের ছদ্মবেশে নিলেন তিনি। আর বেরিয়ে পড়লেন ছদ্মবেশ ধারণের উদ্দেশ্য সফল করতে। বিভিন্ন থানায় গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন সেখানকার পরিস্থিতি।

তা কেমন ছিল তাঁর ছদ্মবেশ? কৃষ্ণ প্রকাশের পরনে ছিল কুর্তা-পাজামা। মাথায় ফেজ টুপি। তাঁর এই ছদ্মবেশ নিতে তাঁকে সাহায্য করেছেন স্ত্রী প্রেরণা কাট্টে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণ প্রকাশের স্ত্রী নিজেও পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়েরই অ্যাসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনার। তাই স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্তে, তাঁদের যুগলবন্দী পরখ করল শহরের আইনকানুন ব্যবস্থা।

জানা গিয়েছে, ছদ্মবেশে শহরের ৩টি থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতে যান। যেমন বাবধন থানায় একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। আবার ওয়াকাড় থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। কৃষ্ণ প্রকাশ জানান, দুটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ।

তবে, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে থানায় তাঁদের অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়। সেখানে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ জানান। অভিযুক্ত চালক করোনা রোগীর পরিবারের থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। কৃষ্ণ প্রকাশের অভিযোগ, কার্যত তাঁদের কথা না শুনেই, থানার অফিসার তাঁদের স্থানীয় পুলিশ চৌকিতে যেতে বলেন।

জানা গিয়েছে, এরপরই বাধ্য হয়েই নিজের পরিচয় প্রকাশ্যে আনেন কৃষ্ণ প্রকাশ এবং ডিভিশনাল অ্যাসিটেন্ট পুলিশ কমিশনারকে অবিলম্বে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে থানার অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ মতোই, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে শোকজ নোটিসও পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।