শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘GTA নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই’! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গোর্খা নেতা বিমল গুরুংয়ের

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম | আপডেট: মে ১৪, ২০২২, ১১:০৪ পিএম

‘GTA নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই’! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গোর্খা নেতা বিমল গুরুংয়ের
‘GTA নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই’! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গোর্খা নেতা বিমল গুরুংয়ের

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ GTA নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিমল গুরুং। নির্বাচনের আগে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এমনটাই দাবি স্পষ্ট।

পাহাড়ের এই গোর্খা নেতার দাবি, BJP ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ১১ টি গোর্খা জনগোষ্ঠীকে SC তকমা না দেওয়া পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই GTA নির্বাচনের আগে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে এই প্রতিশ্রুতি পূরণের আর্জি জানিয়েছেন বিমল গুরুং।

প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে বিমল গুরুং GTA নির্বাচনের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিও জানিয়েছিলেন। তাই সেই বছর GTA নির্বাচন হওয়া সম্ভব হয়নি। মমতাকে লেখা চিঠিতে বিমল গুরুং দাবি করেছেন, ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী GTA-এর হাতে রাজ্য সরকারের অধিক ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা ছিল। সেই ক্ষমতা দাবির পাশাপাশি গোর্খা অধ্যুষিত ৩৯৬ টি মৌচাকে GTA-এর অধীনে আনার দাবি জানিয়েছেন গোর্খা নেতা।

এছাড়াও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, তাঁর দলের কেউই এখন আর বিজেপির অন্তর্ভুক্ত নন। তাঁরা সম্পূর্ণভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটবদ্ধ। তাই ২০১১-র চুক্তি অনুসারে তৃণমূল যেন GTA-র হাতে তাদের প্রাপ্ত ক্ষমতা তুলে দেয় এবং পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেয় সেই অনুরোধ করেছেন বিমল গুরুং।

চলতি বছরের মার্চ মাসে পাহাড় সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব GTA নির্বাচন সম্পন্ন করতে চান তিনি। কারণ গত পাঁচ বছর ধরে নির্বাচন আটকে রয়েছে। ফলে একাধিক সরকারি প্রকল্প ও জনকল্যাণমূলক কাছ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। জুন মাসের মধ্যেই GTA নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।